ভিডিও সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

যাকাত ও সদাকাতুল ফিতর সম্পর্কীয় মাসায়েল

যাকাত ও সদাকাতুল ফিতর সম্পর্কীয় মাসায়েল। প্রতীকী ছবি

আলহামদুলিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম। সম্মানিত মুসলিম জনতা! সাওয়াব অর্জন করার সর্বোত্তম সময় হলো, মাহে রমজানুল মোবারক। হাদিস শরিফে রয়েছে, “যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করিল, সে ওই ব্যক্তির সমান হইল যে অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করিল আর যে ব্যক্তি একটি ফরয় আদায় করিল সে ওই ব্যক্তির সমান হইল, যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করিল।”(মিশকাত, হাদিস নং-১৮৬৮)

মুমিন-মুসলমান বান্দাহর নেক আমল সমূহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইবাদত হলো, যাকাত ও সদাকাতুল ফিতর। যাকাত ইসলামী জীবন বিধানের অন্যতম মৌল ভিত্তিও ফরয ইবাদত। পবিত্র কুরআন মাজিদে সালাতের সাথে সাথে যাকাতের কথা বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাকাত আদায় না করা গুনাহে কবিরাহ এবং এর অস্বীকার কুফরি। আর রমজান মাসে গরিব অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে রোজাদারের গুনাহ মোচনের আরেকটি মাধ্যম হলো, সদাকাতুল ফিতর। যা আদায় করা ওয়াজিব।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা! মহান আল্লাহ তা’লা যাদেরকে মেহেরবানি করে ধন সম্পদ দান করেছেন, তাদের কর্তব্য হলো, সঠিকভাবে সম্পদ ব্যবহার করা এবং তা আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যয় করা। মাহে রমজান যেহেতু অধিক সওয়াব অর্জন করার মৌসুম; তাই এ মাসে যেন যাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দান-সদকাহর মাধ্যমে অধিক সাওয়াব অর্জন করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই আপনাদের খিদমতে আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

যাকাত সম্পর্কীয় মাসায়েল : ইসলামি আইনবিশারদগণ এ ব্যাপারে একমত যে,প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন, মুসলমান নর-নারী, সম্পদশালীর উপর যাকাত ফরয। সম্পদশালী বলতে বোঝায়, যার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত  (নিসাব পরিমাণ সম্পদ) এক বছর সময় পর্যন্ত এমন অর্থ ব্যবসা পণ্য রয়েছে, যার মূল্য বর্তমান বাজার দর হিসেবে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের মূল্যের সমান হয়।

সে ব্যক্তিকে বছরান্তে তার (প্রয়োজনের অতিরিক্ত) সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে। (১ তোলা=১ ভরি) কারো নিকট যদি কিছু যদি স্বর্ণ, কিছু ব্যবসায়িক পণ্য এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু টাকা জমা থাকে, এগুলোর মূল্য একত্রে হিসেব করে যদি নিসাব পরিমাণ (সাড়ে বাহান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমান) হয়, তবে বছরান্তে ওই ব্যক্তির উপর যাকাত ফরয হবে।

আরও পড়ুন

যদি কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা, ব্যবসায়িক পণ্য ও রূপা নেই শুধু সোনা থাকে। কেবল সেক্ষেত্রে সোনা সাড়ে সাত তোলা বা তার চেয়ে বেশি হলে যাকাত ফরয হবে। যদি কারো নিকট শুধু রূপা থাকে। সোনা, ব্যবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা পয়সা না থাকে। তাহলে সে ক্ষেত্রে রূপার পরিমাণ সাড়ে বায়ান্ন তোলা বা তার চেয়ে বেশি হলে যাকাত ফরয হবে।

  • কারো নিকট যদি সোনা, রূপা ও ব্যবসায়িক পণ্য না থাকে; শুধু প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা থাকে। উক্ত টাকার পরিমাণ যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার বর্তমান বাজার মূল্যের সমান হয়, তাহলে ওই অর্থের উপর বছরান্তে যাকাত ফরয হবে।
  • শেয়ারের মূল্য, এফডিআর, ডিপিএস এর টাকা নিসাব পরিমাণ হলে এগুলোর যাকাত দিতে হবে।

উৎপন্ন ফসলের যাকাত দুই ধরনের : ০১) কৃত্রিম উপায়ে সেচ দিতে হয়, এমন উৎপাদিত (প্রয়োজনের অতিরিক্ত) ফসলের ২০ ভাগের ০১ ভাগ যাকাত দিতে হবে।

০২) কৃত্রিম উপায়ে সেচ দিতে হয়না, শুধু বৃষ্টির পানিই যথেষ্ট এমন উৎপাদিত (প্রয়োজনের অতিরিক্ত) ফসলের ১০ ভাগের ০১ ভাগ যাকাত দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পানির সঙ্গে লড়ছে যেসব শহর

আখাউড়ায় ৮ হাজার ইয়াবাসহ নারী আটক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেফতার

সুন্দরবনে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ১