ভিডিও শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

আম চাষের পরিধি তেমন না বাড়লেও

বগুড়া অঞ্চলে গত চার বছরে আমের উৎপাদন বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ মেট্রিকটন

বগুড়া অঞ্চলে গত চার বছরে আমের উৎপাদন বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ মেট্রিকটন, ছবি সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়াসহ আশপাশের জেলাগুলোতে গাছে গাছে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। আবার কোন কোন গাছে মুকুল ফুটে বের হয়েছে আমে গুটি। এছাড়াও কোন কোন গাছের মুকুল ফুটে আমের গুটি বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা গত বছরের চেয়ে এবার আমের ফলন বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসেব অনুয়ায়ী গত চার বছরে বগুড়া অঞ্চলে আম উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার ৮৬৬ মেট্রিকটন। আর আম চাষের জমি বেড়েছে ৬২২হেক্টর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট ৮ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। আম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৮ হাজার ৯১৩ মেট্রিকটন। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই চার জেলায় মোট ৮ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল ৯৮ হাজার ১৬৪ মেট্রিকটন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯ হাজার ২০৭ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৪৩২ মেট্রিকটন, আর সর্বশেষ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ হাজার ১৭৭ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৭৯ মেট্রিকটন। অর্থাৎ গত চার বছরে এ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ মেট্রিকটন।

এর মধ্যে শুধুমাত্র বগুড়ার ছোট-বড় মিলে মোট ১ হাজার ৯৮৫টি বাগান এবং বাড়ির আঙ্গিনা, পতিত ভিটাসহ বাড়ির আশপাশে লাগানো চার হাজার ১২৮ হেক্টর জমিতে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট আম উৎপাদন হয়েছিল ৩৩ হাজার ২৪ মেট্রিকটন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই পরিমাণ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ২২০ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছিল। এছাড়াও গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিন হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ৩৫ হাজার ২২০ মেট্রিক টন।

আরও পড়ুন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজ বর্তমানে আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে বলেন, নিয়ম ছাড়াই বিচ্ছিন্ন ও মনগড়াভাবে আম চাষ করার ফলে আমরা কাঙ্খিত আম উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। অন্যান্য ফসলের মতো আমের পরিচর্যা করতে হয়। আমের মুকুল বের হওয়া থেকে আমের গুটি বাঁধা পর্যন্ত আম গাছে নিয়মিত সেচ দিতে হয়। এতে হঠাৎ বৃষ্টি হলে আমের গ্রোথ বেশি হয়ে ফেটে নষ্ট হবার শঙ্কা থাকে না। আমের গুটি বের হওয়া পর্যন্ত প্রচলিত খাবার ও ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে যেসব গাছের মুকুল এখনো ফোটেনি সেসব গাছে উপযুক্ত ছত্রাকনাশক/কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। আর যেসব গাছে আমের গুটি মটর দানার মতো হয়েছে সেগুলোতেও উপযুক্ত ছত্রাকনাশক, কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে। যেসব গাছে মুকুল ফুটেছে সেগুলোতে কোন প্রকার খাবার/সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, উষ্ণ আবহাওয়াজনিত এলাকা বিশেষ করে কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর কিছু কিছু অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বগুড়া অঞ্চলেও আমের ব্যাপক ফলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ অঞ্চলে এখন বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষ করা হচ্ছে। এজন্য আম গাছের পরিচর্যা করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও আমের ফলন বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেসবুক স্টোরি থেকেও এখন আয় করা যাবে

ইসরাইলের নিরাপত্তাপ্রধান রোনেন বার বরখাস্ত

ফিল্মফেয়ারে ‘তুফান’র গানে নাচলেন শুভশ্রী, ভিডিও 

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

ঢাকাসহ ১০ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

ইরিত্রিয়ার সাথে যুদ্ধ চায় না ইথিওপিয়া, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী