যে কারণে দু’বার বোলিং পরীক্ষায় ব্যর্থ ছিলেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক : সারের হয়ে অভিষেক, সেখানেই বোলিং নিয়ে বিতর্ক আবার সেই সারের সহায়তায় নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি। সাকিব আল হাসানের বিগত কয়েক মাসের অধ্যায়ে কাউন্টি ক্রিকেটের দল সারে বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে গিয়েছে। বোলিং নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার পর সারে কোচ গ্যারেথ ব্যাটির অনুশীলন করেই সাকিব পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি।
সেই সুখবর পেতেও সাকিবকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বৈকি! লাফবরো ইউনিভার্সিটির আইসিসি স্বীকৃত ল্যাবে প্রথম পরীক্ষায় হয়েছিলেন ব্যর্থ। গ্রিন সিগন্যাল আসেনি চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র ল্যাব থেকেও। শেষ পর্যন্ত লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে চলতি মার্চ মাসে সাকিব ফিরে পেয়েছেন বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা।
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়া থেকে বৈধতা ফিরে পাওয়া-পুরো যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন তার বন্ধু সিরাজুল্লাহ খাদেম। ক্রিকবাজকে জানালেন সাকিবের দুই বারের ব্যর্থতার কারণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে নিপু নামে পরিচিত খাদেমুল জানান প্রথম দুইবারে তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন সাকিব। ‘এই যাত্রাটা কঠিন ছিল না। সেও এসব নিয়ে বাড়তি ভাবনার মাঝে ছিল না। সাকিব জানতো তার ঠিক কী করতে হবে। আমার মনে হয় প্রথম দুই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সাকিব তাড়ার মাঝে ছিল। এবারে তার প্রস্তুতি ছিল একেবারেই ঠিকঠাক। আর এর পুরস্কারও (বোলিং পরীক্ষায় পাশ করা) সে পেয়েছে।’ নিপু জানান তৃতীয় পরীক্ষার আগে প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অনুশীলন করেছিলেন সাকিব। আর এবারে বোলিং বৈধতা ফিরে পেতে তার প্রস্তুতিও ছিল ব্যাপক।
আরও পড়ুন২০০৬ সালে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব, তামিম, মুশফিকদের সঙ্গেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন নিপু। সাকিবকে কাছ থেকে দেখেছেন দীর্ঘদিন। ঠিক কেন বন্ধু সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়লো, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। ‘আমার বিশ্বাস ওই ম্যাচে (সারের হয়ে ম্যাচ) সে (সাকিব) অনেক বেশি বোলিং করেছে। যখন আপনি নিজেকে অতিমাত্রায় পরিশ্রম করাবেন, সেটা ক্লান্ত শরীরে। আমার অ্যাকশনে তখন কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন আসবেই। সেটাই সমস্যার শুরু করে। সে এখন দারুণ অবস্থায় আছে। আর মনে হচ্ছে তার সব কিছুই ফিরে পেয়েছে আবার।’
মন্তব্য করুন