ভিডিও সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

উৎসবে নারীদের চাপ....

উৎসবে নারীদের চাপ....

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ উৎসব আয়োজন সেটা ঈদ হোক কিংবা অন্য কোনো উৎসব মানেই অফুরন্ত আনন্দ। উৎসবকে কীভাবে উদযাপন করা হবে এই ভেবে মাসখানেক আগে থেকে সবার কত শত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকে, তাই না! তবে যেকোনো আয়োজনেই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ভূমিকা ও সম্পৃক্ততা কিন্তু ভিন্নরকম থাকে।

নির্দিষ্ট একটা বয়স পর্যন্ত উৎসব উদযাপনের মানসিক উপযোগ থাকে শতভাগ। ছকবিহীন, বাধাহীন। কিন্তু সেই সময়টা পার হয়ে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উৎসব মানে শুধুই ব্যস্ততা। খেয়াল করুন তো, আপনি যখন উৎসবের বিকেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেড়িয়েছেন তখন আপনার মাকে কিংবা পরিবারের অন্য নারী সদস্যদের কী করতে দেখেছেন?

উৎসবের দিনগুলো কীভাবে কাটে নারীদের! আর ঈদ হলে তো কথাই নেই। একটু ভাবুন তো আপনারা নিজেদের বাড়িতেই কী দেখে বড় হয়েছেন? উৎসবের আগেরদিন গভীর রাত অব্দি, আবার কখনো কখনো দুই-তিনদিন আগে থেকে মা খালারা রান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ঈদের দিন হরেক পদের রান্না ছাড়াও হয়তো আমাদের উৎসব আয়োজন সম্পন্ন হতো কিন্তু তাতে কারও মন ভরে না! সবার মন রাখার দায়িত্ব নিজ কাঁধে টেনে নেওয়ার অসীম ধৈর্য নিয়ে নারীরা জন্মেছেন। এছাড়া উৎসবকেন্দ্রিক ঘর ঝাড়া, মোছা, ধোয়াধোয়ি আর কেনাকাটার দায়িত্ব তো থাকেই নারীর ওপরে।

এই সবকিছু গুছিয়ে আনার পর বলুন তো উৎসবের দিন তারা কী করেন! ক্লান্তিতে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দেন, তাও বেশি সময়ের জন্য না কারণ; বাসায় আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করতে হবে তো! 

সংসারে নারীদের শ্রমসাধ্য এই সাংসারিক কর্মকাণ্ড জীবনাচরণের অংশ হিসেবে হয়তো স্বাভাবিক তবে পরিণত এই সময়ে এসে এখন মনে হয় উৎসবটা আমাদের মায়েদের জন্যও সমান আনন্দের হওয়া উচিত। সংসারে নারীদের শ্রমসাধ্য এই সাংসারিক কর্মকাণ্ড জীবনাচরণের অংশ হিসেবে হয়তো স্বাভাবিক তবে পরিণত এই সময়ে এসে এখন মনে হয় উৎসবটা আমাদের মায়েদের জন্যও সমান আনন্দের হওয়া উচিত। তাদের দরকার ছিল সব কাজ থেকে মুক্তি পাওয়া ফুরফুরে একটি দিন।  

ভিন্নভাবে চিন্তা করলে আবার এটাও ভাবা যায় পারিবারিক এসব কাজকর্মের মধ্যেই হয়তো তারা উদযাপনের আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। অথচ নানান পদের রান্নাবান্নায় নিজেকে নিয়োজিত করে সময়টা নষ্ট না করলে বেশ জমিয়ে গল্প ও আড্ডা দিয়ে সময়টা উপভোগ করতে পারতেন! পারতেন কিন্তু সেটা তারা করবেন কেন! এটাই অতিথিপরায়ণতা বা বাঙালির আপ্যায়নের সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতির ভাঁজে ভাঁজে প্রকটতর বাধ্যবাধকতা আছে যা খালি চোখে দেখা যায় না।

আরও পড়ুন

এই ডিজিটাল যুগে ঈদ উৎসবে নারীদের চাপ নেওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই! এখন কারসাজি শুধু ক্লিকের। একটু পরিকল্পনা করে চললেই উৎসব আয়োজনে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। সব কাজ একা হাতে সারতে গিয়ে উৎসবের দিনে অসুস্থ না হয়ে বরং আসুন চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনি।

রুটিরুজি সংস্থান করতে সারাবছরই প্রত্যেকের ব্যস্ত সময় যায়। বিশেষ দিনে নিজের জন্য একটা নির্ভার সময় রাখা ভীষণরকম প্রয়োজন। দেশে এখন প্রচুর সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নাগরিক জীবনকে সহজ করে তুলেছে।

এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন রেস্টুরেন্ট যারা উৎসব আয়োজনে নির্দিষ্ট সেই উৎসবকেন্দ্রিক মজাদার সব প্ল্যাটার অফার করে থাকে। উৎসবের দিনে অর্ডার ঠিক সময়মতো ঘরে পৌঁছে দেবে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা যারা গ্রাহকের অর্ডার অনুযায়ী উৎসবের সব খাবার বাসায় সরবরাহ করে থাকেন। পেয়ে যাবেন হোম ক্লিনিং সার্ভিস। উৎসবের সপ্তাহখানেক আগে সেটাও করিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া আছে আরও অনেকরকমের সেবা খাত!

উৎসবে প্রাপ্ত বোনাস থেকে অথবা নিয়মিত খরচ থেকে একটা দুইটা খাতের অপচয় কমিয়ে ফেললে খুব আনন্দের সাথে এই সার্ভিসগুলো আউটসোর্স করতে পারবেন।

দেখবেন উৎসব আয়োজনের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে আনন্দ যোগ হবে তখনই যখন দেখবেন হাত হালকা হওয়ার কারণে ঘরের নারী পরিবারের সবার সাথে সময় কাটানোর ফুরসত পেয়েছেন। এমন সুখী আত্মা দেখলে আয়ু বাড়ে, জানেন তো!

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ , বাসে আগুন

নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ঈদের দিনের জিয়ার মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা ও দোয়া

১৫ বছর পর আমরা মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছি : মির্জা ফখরুল

পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট'স অ্যাসোসিয়েশন অব জামালপুরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

যশোর সীমান্তে যুবকের মরদেহ উদ্ধার