ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডে ধসে পড়ল ৩০ তলা ভবন, ভেতরে আটকা ৪৩ নির্মাণশ্রমিক

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল থাইল্যান্ডও। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী ব্যাংকক। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, একটি বহুতল ভবন ধসে ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক আটকে আছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পের কারণে ব্যাংককের একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। জাতীয় জরুরি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, চাতুচাক পার্কের কাছে ওই ভবনটিতে ৫০ জন লোক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ৪৩ জন এখনো ভেতরে আটকে রয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, ভূমিকম্পে ভবনগুলো এত বেশি দুলছিল যে যেসব ভবনের ছাদে সুইমিং পুল ছিল সেগুলো থেকে পানি উপচে পড়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিবিসির থাইল্যান্ড প্রতিনিধি বুই থু বলেন, ‘আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ ভূকম্পন টের পাই। খুবই ভয় পেয়ে যাই। প্রথমে বুঝতে পারিনি যে আসলেই ভূমিকম্পই হচ্ছে। কারণ প্রায় এক যুগের মধ্যে থাইল্যান্ডে কোনো ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমি মনে করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই আরেকটা আফটার শক অনুভূত হয়। আমি দেখলাম ভবনগুলোর ছাদ থেকে পানি উপচে পড়ছে নিচে। মানুষজনের চিৎকার কানে ভেসে এল। দৌড়ে নিচে নামলাম। ততক্ষণে সবাই নিচে নেমে এসেছে। থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প খুব একটা হয় না বলে এখানকার ভবনগুলো সেভাবে তৈরি করা হয় না। আমার ধারণা অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি।’
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭। মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। মূল কম্পনের পরপরই অনুভূত হওয়া আফটার শকের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।
মন্তব্য করুন