মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪

৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা পর মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে।
“আমরা খালি হাতেই মানুষদের মাটি খুঁড়ে বের করছি,” ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে খুব বেশি দূরে মান্দালয়ে একটি দল বিবিসিকে বলেছে।
মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬৯৪ জন নিহত এবং শত শত আহত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোও ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভব করেছে।
একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছেন, “মান্দালয়ে বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে এবং মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছে না।”
একজন সেনা জেনারেল বলেছেন, মিয়ানমারে কমপক্ষে ১৪৪ জন নিহত এবং আরও শত শত আহত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোও ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভব করছে।
আরও পড়ুন
থাইল্যান্ডে একটি অসম্পূর্ণ বহুতল ভবন ধসের পর উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় সরকার কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ এবং ছয়জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয় আশপাশের অঞ্চলে।
মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও।
থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন