ভিডিও বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রংপুরের একটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গঙ্গাচড়ায় একটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন মাওলানা আব্দুল বাতেন। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে হেঁটে, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে তালুক বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া জামে মসজিদে জড়ো হতে থাকেন। পরে তাঁরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৪ সালে বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশা ঈমাম হয়ে ২০ থেকে ৪০ জন মুসল্লিকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ উদযাপন শুরু করেন। তখন থেকেই এ নিয়ম চলে আসছে।

২০২২ সালে মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল বাতেন বাবার শুরু করা এই প্রথা ধরে রেখেছেন। বর্তমানে মাওলানা আব্দুল বাতেন ইমাম হয়ে ১২০টি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।

তাদের এই জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে আশপাশের গ্রাম ও শহর থেকে আসা প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনসহ মোট ১৪০ জন মুসল্লি অংশ নেন। এসময় সেখানকার নিরাপত্তায় গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়।

আরও পড়ুন

ঈদের জামাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিশুসহ মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা যথা নিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।

রংপুর নগরীর থেকে আসা আশরাফ আলী (৩৮) বলেন, আমি সকালে আসছি। ঈদের নামাজ আদায় করলাম। আমি ছোট থেকে আমার বাবার সাথে ঈদের জামাত আদায় আসতাম। এখানে রোজা ও ঈদ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করা হয়। 

বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়ার রশিদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমরা ছোট থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল এখানে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করি। কোরআন শরিফ ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, বিশ্বের যেকোনো স্থানের চন্দ্র উদয় হলে এটি সারা বিশ্বের জন্য গ্রহণযোগ্য। গতকাল সৌদি আরবের চাঁদ দেখা গেছে। এটি আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, তাই আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, বড়বিল ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রায় ১২০টি পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। তারা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এপ্রিলে তাপপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস

বাংলাদেশের ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমার পৌঁছালো উদ্ধার ও চিকিৎসা দল

বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

কেন জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল জব্বার?

নৈতিক শিক্ষা বিস্তারে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নাই --- ভিসি ড.হাছানাত আলী

গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০