ভিডিও শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

সংগৃহীত,মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেয়ে শিবানীর বিয়ের বাকি হাতে গোনা কয়েকদিন। জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতির। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয় আত্মীয়স্বজনদের। পুরো পরিবার যখন আনন্দে ভাসছে ঠিক তখন ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিয়ের ১০ দিন বাকি থাকতেই মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মা।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শিবানী উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদরাক থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের আগে তার মায়ের এমন ঘটনায় হতবাক পুরো পরিবার।

প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, শিবানীর মায়ের নাম অনিতা। তিনি তার হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির থেকে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়নাও নিয়ে গেছেন।

শিবানী বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমার রাহুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, আর আমার মা রোববার তার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। গত তিন-চার মাস ধরে রাহুল ও আমার মা ফোনে অনেক কথা বলতেন। আমাদের আলমারিতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না ছিল।

মা তার কথা মতোই সবকিছু করেছেন। এমনকি ১০ টাকাও ফেলে যাননি। আমার মা আমাদের সব টাকা নিয়ে গেছেন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘এখন তিনি যা খুশি করতে পারেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু চাই আমাদের টাকা ও গয়না ফেরত দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন

শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার জানান, তিনি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন এবং শুনেছিলেন অনিতা তার হবু জামাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন, কিন্তু যেহেতু বিয়ের তারিখ খুব কাছেই ছিল তাই তিনি কিছু বলেননি। তিনি এখন স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছেন।

জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ওই লোকটি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না, শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলত। আমি ব্যবসার জন্য বেঙ্গালুরুতে থাকি। শুনেছি গত তিন মাস ধরে তারা প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কথা বলত। আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের তারিখ কাছে আসায় কিছু বলিনি। অনিতা ৬ এপ্রিল ওই লোকের সঙ্গে পালিয়েছে এবং আমাদের সমস্ত নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনিতাকে অনেকবার ফোন করেছিলাম। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপর আমি মেয়ের হবু স্বামীকেও ফোন করেছিলাম। সেও অস্বীকার করে যে-অনিতা তার সঙ্গে আছে।’

আনিতার স্বামী বলেন, যদিও কয়েক ঘণ্টা পর, অবশেষে সে বলে যে আমি নাকি ২০ বছর ধরে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমার তাকে ভুলে যাওয়া উচিত। এরপর তাদের আর ফোনে পাওয়া যায়নি।’

মাদরাক থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গজারিয়ায় ডাইং এন্ড প্রিন্ট্রিং ফ্যাক্টরিতে আগুন; আধা ঘন্টায় নিয়ন্ত্রণ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহি নিহত ৩

বগুড়ায় ট্রাকে মিলল ৫০ কেজি গাঁজা, চালক গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি ছুড়ে হত্যার হুমকি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার ৬

কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে সি-ট্রাক