সংবাদ সম্মেলনে দাবি
বিসিএল গ্রুপ’র উচ্ছেদ করা অংশ লিজকৃত নয়, টিএমএসএস’র নিজস্ব কবলা সম্পত্তি
_original_1744294780.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বিসিএল গ্রুপ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়ার মোহাম্মাদ বলেছেন, বিসিএল গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উচ্ছেদ করা অংশ লিজকৃত জমির অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি টিএমএসএস’র নিজস্ব কবলা সম্পত্তি। একতরফা ও বিভ্রান্তিকর জরিপের মাধ্যমে ভুলভাবে এ অংশ নদীর জমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি জেলা জজ আদালতে মোকাদ্দমা বিচারধীন থাকাবস্থায় জেলা প্রশাসন আদালতের সিদ্ধান্ত না মেনে শেডের ওই অংশ উচ্ছেদ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মম ইন এ বগুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিএল’র এই কর্মকর্তা এমন দাবি করেন। এসময় তিনি আরও বলেন, বিসিএল গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩৮ একর জায়গার উপরে অবস্থিত, এরমধ্যে শূন্য দশমিক পাঁচ একর জমি, টিএমএসএস কর্তৃক সরকার থেকে গৃহীত শূন্য দশমিক ৯৩ একর জমির মধ্যে অবস্থিত। তবে বিসিএল গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ শেডের যে অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে তা লিজকৃত সম্পত্তির অংশ নয়। ওই সম্পত্তি টিএমএসএস’র নিজস্ব কবলা সম্পত্তি। একতরফা ও ভুলভাবে পরিমাপের কারণে উক্ত শেড লিজকৃত জমির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জেলা প্রশাসক কর্তৃক লিজ প্রদান করা হলেও কবুলিয়তনামা প্রদান না করায়, টিএমএসএস’র পক্ষে একটি মামলা করা হলে ২০০৯ সালে সংস্থার পক্ষে ডিক্রি হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় থাকা বিষয়বস্তুকে ফেব্রিকেটেড বলে আখ্যা দেওয়া অনভিপ্রেত এবং অধিকার খর্বের শামিল দাবি করে বলা হয়, উক্ত সম্পত্তির কিছু অংশে বিসিএল একটি সম্ভাবনাময় গ্লাস ফ্যাক্টরি স্থাপনের নিমিত্তে শেড ও ভারি যন্ত্রাংশ স্থাপন করে। ফ্যাক্টরি স্থাপন করার আগে প্লান পাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তিপত্র প্রভৃতি গ্রহণ করে ফ্যাক্টরির কার্যক্রম চলমান থাকাবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া একতরফাভাবে নদীর সম্পত্তি বিবেচনায় পরিমাপ করে সীমানা চিহ্নিত করে। একতরফা পরিমাপে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি শেডের কিছু অংশ নদীর জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করে।
ওই পরিমাপের সূত্র ধরে বগুড়া জেলার প্রশাসক কর্তৃক গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি উচ্ছেদ নোটিশ জারি করা হয়। উক্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে টিএমএসএস’র পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে, তিনজন জেলা প্রশাসক কর্তৃক স্থাপনা করার অনুমতিপত্র সংযুক্ত করে, দেশের স্বার্থে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন জানানো এবং টিএমএসএস’র লিগ্যাল বিভাগ কর্তৃক উক্ত নোটিশের কার্যকারিতা অধর্তব্য ঘোষণা চেয়ে বগুড়ার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। আদালত উক্ত নোটিশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা বাতিল হলেও, বাদিপক্ষ হতে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল মোকদ্দমা দায়ের করলে বর্তমানে তা বগুড়ার জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক বিচারাধীন আপিল মামলার নোটিশপ্রাপ্ত হয়েও কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই শেডের স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এতে শেডের ভিতরে থাকা ভারি ভারি যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুনসংবাদ সম্মেলনে টিএমএসএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক-৩ সোহরাব হোসেন, পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, উপ-পরিচালক (ভূমি ও আইন) মজিবর রহমান, বিসিএল গ্রুপ’র উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আশিকুন নবী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন