ভিডিও শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা পৌরবাসীর নানা সমস্যায় ভোগান্তির শেষ নেই

গাইবান্ধা পৌরবাসীর নানা সমস্যায় ভোগান্তির শেষ নেই, েছবি সংগৃহীত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত গাইবান্ধা পৌরসভায় ভোগান্তির শেষ নেই। সেবার মানও কমেছে এই পৌরসভার। ৫ লক্ষাধিক লোক বসবাস করে গাইবান্ধা পৌরসভায়। এতে তালিকাভুক্ত হোল্ডিং রয়েছে ১৫ হাজার ৪শ’ ৬২ টি। ৯ টি ওয়ার্ডে অধাপাকা ১২ কি.মি. এবং ৫০ কি.মি. কাঁচা রাস্তা রয়েছে।

বিশেষ করে পৌরসভার ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডের অভ্যান্তরীণ সড়ক গুলি অস্তিত্ব হারিয়েছে। স্বল্প কয়েকটি ড্রেন চালু থাকলেও বিস্তীর্ণ এলাকায় নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যেসব ড্রেন গুলি ময়লা আর্বজনা দিয়ে ভরাট হয়ে পড়েছে। ড্রেন গুলো পরিত্যক্ত, বর্ষা এলেই বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে মেইন রোডে কোন কোন স্থানে অস্থায়ী ডাস্টবিন থাকলেও শহরের বেশি ভাগ এলাকায় ডাষ্টবিন নেই সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনায় স্তুপ হয়ে পড়ে থাকে।

এতে পৌর কর্তৃপক্ষ এ সব ময়লা আবর্জনা ট্রাক দিয়ে মাঝে মাঝে  সরিয়ে ফেলে। স্তুপ করা অবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় এসে দায়িত্ব নেয়ার পরেও সমস্যা সমাধানের উদ্যাগ না নিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গুলোর কাজের মান নিম্নমানের হয়। ফলে বছর ঘুরতেই এসব উন্নয়ন কাজ অদৃশ্য হয়ে যায় । অপরদিকে পৌর এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও রাস্তার লেন গুলোতে ৪ হাজার ১শ’ রোড বাতি রয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব ল্যাম্প পোস্ট না থাকায়  নেসকো ও পিডিবির বিদ্যুৎ খুটিতে পৌরসভার রোড বাতি লাগানো হয়। যেখানে বিদ্যুৎ খুটি নেই সেখানে রোড বাতির ব্যবস্থাও নেই । বর্তমানে ২০-৩০ ভাগ এলাকায় সড়কবাতি জ¦লে। তবে জোড়াতালি দিয়ে এইবারই প্রথম পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও লেনে ল্যাম্প পোস্টে ১ হাজার ৪শ’ ৩০ টি ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব ল্যাম্প পোস্টে ডাবল সড়ক বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব এলাকায় নেসকো ও পিডিবির বিদ্যুৎ খুটি নেই সেখানে জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ রয়েছে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে রয়েছে।

আরও পড়ুন

৩নং ওর্য়াডের সাবেক কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, জরুরী ভিত্তিতে মহল্লার ড্রেন সহ রাস্তাঘাট গুলো নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করে ময়লা আর্বজনা গুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। নিরাপত্তার জন্য সড়ক বাতি গুলো জরুরী প্রয়োজন। নাগরিক সেবা বাড়াতে গেলে এসব সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। পৌর প্রশাসক ও ডি.ডি.এল.জি এ.কে.এম হেদায়তুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা পৌরসভার নিকট সাড়ে ১০ কোটি টাকা বকেয়া রেখেও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবারহ করছে। এছাড়া মন্ত্রাণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে চলমান উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ট্রাক উল্টে দীর্ঘ যানজট

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবু ৫ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

চুয়াডাঙ্গায় চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে তেহরানে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী