বগুড়ায় দুই পক্ষের মারপিটে সাংবাদিকসহ আহত ৭

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পারিবারিক বিবাদ মিমাংসার সময় দুই পক্ষের মারপিটে সাংবাদিকসহ সাতজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় মা-মেয়েকে বেধড়ক পিটিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্যা চাকরান আধখোলা এলাকায় এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। নিকটাত্মীয় দুই পক্ষের বিবাদ নিরসনে এগিয়ে গেলে সাংবাদিক রাসেল মাহমুদ হামলার শিকার হন। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদে কর্মরত ও নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক।
আহত অন্যরা হলেন-সাংবাদিকের বাবা কামুল্যা পশ্চিমপাড়ার হাজী মোত্তালেব হোসেন (৬৫), কামুল্যা সরকারপাড়ার আনোয়ার হোসেন টুটুল (৩৪), তার স্ত্রী রুমি বেগম (৩৩), মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৫), প্রতিপক্ষ চাকরান আধখোলা এলাকার নুর মোহাম্মদ (৩০), হযরত আলী (৩৫)। এদের মধ্যে মা-মেয়ে মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির ছাদে বৃষ্টির পানি পড়ার জেরে দুই পরিবারের বিবাদ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডা ও মারমুখী আচরণের ঘটনাটি দুই পক্ষ মিমাংসা করতে বসে। শ্বশুর-শাশুড়ির পক্ষে সেখানে যান আনোয়ার হোসেন টুটুল। দুই পরিবারের নিকটাত্মীয় সাংবাদিক রাসেলের বাবা মোত্তালেব হোসেনকে বিবাদ মিমাংসার জন্য ডাকা হয়। আলোচনা শেষে ফেরার পথে প্রতিবেশী দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকের বাবা তাদেরকে শান্ত করতে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতেই হামলার শিকার হন সাংবাদিক রাসেল।
মারপিটের ঘটনায় চারজনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কামুল্যা সরকারপাড়ার মৃত আফসার আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন টুটুল। আহত মা-মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন