হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দুমকি

পটুয়াখালীর দুমকিতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি-গোয়ালঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। এতে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গাছচাপায় চার অটোরিকশার যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ওপর দিয়ে আকস্মিক এ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা প্রায় আধা ঘণ্টা প্রবল বেগে দমকা হাওয়া ও ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় দুমকি-বাউফল সড়কের রাজাখালী ফার্মগেট এলাকায় গাছচাপা পড়ে একটি অটোরিকশার চার যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে মো. আতিকুল ইসলামকে (৪২) দুমকি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তিন ঘণ্টা পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে ফেললে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে শ্রীরামপুর গ্রামের দুলাল চৌকিদার, আ. খালেক মৃধা, দুমকি গ্রামের হানিফ মৃধার বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া জলিশা গ্রামের ফয়সাল ফকিরের গোয়ালঘরসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুনতিনি জানান, রাজাখালী, চরবয়েড়া, জলিশা গ্রাম ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায়ও বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি, গোয়ালঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে, খুঁটি হেলে ও উপড়ে পড়ে গেছে। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, রাস্তার উপর গাছ পড়ে থাকার খবরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালানো হয়। পরে গাছটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন