ভিডিও শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় এক গ্রাম খাবার বা ত্রাণও ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় : ইসরায়েল

গাজায় এক গ্রাম খাবার বা ত্রাণও ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় : ইসরায়েল, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় টানা প্রায় ১৮ মাস ধরে বর্বর গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজাতে সর্বাত্মক অবরোধও জারি রেখেছে। ফলে গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। এমন অবস্থায় গাজায় এক গ্রাম খাদ্য বা সাহায্যও ঢুকতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।

এমনকি গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিলে তা ইসরায়েলের হামাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মাঝে এই উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাঝেই গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবসান ঘটিয়ে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৪ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে। এরই মাঝে ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বুধবার এক বিতর্কিত মন্তব্যে বলেন, গাজা উপত্যকায় এক গ্রাম খাবার বা ত্রাণও ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ না সেখানে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমরা আমাদের ভুল থেকে কিছুই শিখিনি। যখন আমাদের বন্দিরা এখনো সুড়ঙ্গের ভেতরে মৃত্যুবরণ করছে, তখন গাজায় এক গ্রাম খাবার বা ত্রাণ পাঠানোরও কোনো যৌক্তিকতা নেই। বেন-গভির দাবি করেন, গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিলে তা ইসরায়েলের হামাসকে পরাজিত করার এবং বন্দিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কোনও ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কৌশলগত চাপ প্রয়োগের অংশ, যাতে হামাস সাধারণ মানুষের দুঃখকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।

আরও পড়ুন

মূলত ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছে, ফলে খাদ্য, পানি, ওষুধসহ জরুরি সহায়তা প্রবেশে বাধা তৈরি হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই : নাহিদ ইসলাম

এনসিপি’র তৃতীয় সাধারণ সভা সম্পর্কে যা জানা গেলো 

আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এলডিপিতে যোগ দিলেন

আজ সারাদেশে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি

১৫ বছর ফ্যাসিবাদ জগদ্দল পাথরের মতো বসে ছিল: আলী রীয়াজ

ডিএমপি’র চার থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা