ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

‘‘সংস্কার ছাড়া আমরাও নির্বাচন চাই না” 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, ছবি: সংগৃহীত।

মফস্বল ডেস্ক:গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া গণ অধিকার পরিষদ নির্বাচন চায় না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহসভাপতি রতন হাজীর মৃত্যুতে সমবেদনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নূর।

সেখানে তিনি বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণ কে স্বস্তির মধ্যে আনতে হবে নয়তে দ্রুত নির্বাচন দেন। সংস্কার ছাড়া আমরাও নির্বাচন চাইনা ।এই সরকারে প্রধান দুটি কাজ হলো সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করা। আমাদের পরিষ্কার কথা সংস্কার এবং বিচার দুটোই সমান্তরালে চলবে।”

তিনি আরও বলেন, ২ বারের বেশি একটি লোক প্রধানমন্ত্রী থাকে তাহলে আমরা মনে করি শেখ হাসিনার মত ফ্যাসিস্ট হবে।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু তে রাখা হয়ছে। রাস্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া ও মিলাদ মাহফিল আর কবর জিয়ারত ছাড়া কোন কাজ করতে পারে না। আমরা এখানে বলছি রাস্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য দরকার। সংসদে যেন একক দলের অধিপত্যে না থাকে।একক দল মাত্র দুই তিন শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে জনগণের রাস্ট্রের উপর কোনে ব্যবস্হা চাপিয়ে দিতে না পারে।সেই জন্য আমরা বলছি ভারসাম্য পূর্ণ সংসদের জন্য আনুপাতিক হারে নির্বাচন কিংবা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টে আমরা যেতে পারি।

“কিন্তু আমরা চাইলেই তো হবে না। এই কারণে বিষয়টি জাতীয় সংস্কার ঐক্যেমত কমিশনের কাছে জোর দিয়ে জানাচ্ছি। দুনিয়ায় কোন বিষয় সব মানুষ একমত হয় না। শেষ পর্যন্ত বিচারের ভার দু’এক জনের কাছে থাকে। সংস্কার কমিশনের কাছে কিন্তু বিচারের ভার দেওয়া হয়ছে। এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়ছে কিংবা আরো যেটা প্রয়োজন সে বিষয়গুলো সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় সনদ প্রণীত করা দরকার। যেখানে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংঙ্গীকার করবে আমরা সংংস্কার কাজকে সমর্থন করছি। সেটার ভিত্তিতে সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন হবে। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু  নিরপেক্ষ হবে। সেই নিরাপদ অবাধ সুষ্ঠু হবে। জনগনের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। এটাই আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টি ভংগি বর্তমান সমাজ ও সরকারের প্রতি।”

আরও পড়ুন

নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা মনে করি ফ্যাসিবাদ কাঠামোর পরিবর্তন না করা যায় যদি কিছু কাজের সংস্কার করা লাগে রাষ্ট্রের মৌলিক কোন কাজের সংস্কার না করা যায়। তাহলে আগের মত যেই লাউ সেই কদু সেভাবেই চলবে। এখন নির্বাচিত সরকার নাই জাতীয় ঐক্যমত্য ভিত্তিতে সকল রাজনীতিক দল মত নির্বিশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সম্প্রতিক সময়ের জন্য। সে সরকার একটি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন সংস্কার কাঠামো তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছে।প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য কমিশন দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। আমরা বলছি সকল দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে কিছু সংস্কার করা যেতে পারে। প্রশাসনের জন্য যদি কোন বিধি-বিধান না তৈরি করা হয় তাহলে সেই প্রশাসন তো আগের মতই কাজ করবে। আমরা পিসির শক্তি যদি বন্ধ করতে না পারি আমরা যে নির্বাচনে প্রত্যাশা করছি সেটা কিন্তু হবে না। বর্তমানে স্থানীয় সরকারের কোন প্রতিনিধি নাই জনগণ মারাত্মক ভোগান্তিতে আছে।

দ্রুত নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি রোড ম্যাপ থাকা দরকার। তা না হলে রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে যদি সংশয় সন্দেহ তৈরি হয় তাহলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তরায় তৈরি হবে। 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গৌতম গম্ভীরকে হত্যার হুমকি

হিমির ১০৯ নাটকের প্রতিটির ভিউ কোটি পার

এল ক্লাসিকোর আগে রিয়াল শিবিরে জোড়া দুঃসংবাদ

প্রত্যেক সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে : মোদি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরলেন বিজয়

সম্পর্ক ভাঙলো সামিরা খান মাহির!