২০২৪-২৫ অর্থবছর
বাড়ল যেসব পণ্যের দাম
জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
এলইডি ও এনার্জি সেভিং বাল্ব
বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে দেশে বেড়েছে এলইডি বাল্বের ব্যবহার। নতুন বাজেটে এলইডি বাল্ব এবং এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তামাক পণ্য
সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে জর্দা ও গুলের। তবে অপরিবর্তিত থাকবে বিড়ির দাম।
মুঠোফোন ও ইন্টারনেট
বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।
পানির ফিল্টার
দেশে উৎপাদন হওয়ায় পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
কাজুবাদাম
দেশে কাজুবাদাম চাষকে সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসাবে খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে।
এসি
গরমে আরাম পেতে অনেকে এয়ারকন্ডিশন বা এসি কিনছে। আগামী বাজেটে এসিকে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহূত কমেপ্রসার ও সব ধরনের উপকরণের শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনফ্রিজ
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। যা আর বৃদ্ধি করা হবে না। ফলে নতুন অর্থবছরে ৫ শতাংশ ভ্যাটের হার বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
গাড়ি
বিলাসবহুল গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি রোধে হাইব্রিড ও নন হাইব্রিড টাইপের গাড়ি ছাড় করতে কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত যোগ করা হয়েছে।
কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস
কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, আমসত্ত্বের ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সন
গাড়ি সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সনের ব্যবহূত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে গাড়ি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে।
জেনারেটর
জেনারেটর সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহূত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।
মূলধনি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ
অর্ধশত মূলধনি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের রেয়াতি সুবিধা (শূন্য শুল্কে আমদানি) প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ কারণে দেশে ব্যবহার্য অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন