ভিডিও

ঋণ গ্রহীতা সপরিবারে আত্মগোপনে

বগুড়া ইউসিবিএল ব্যাংকের ঋণের শতাধিক কোটি টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ০৯:১৮ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কোর্ট রিপোটার : ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখার ঋণের সুদে-আসলে ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৫ টাকা আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ওই ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা সমীর প্রসাদ দত্ত সপরিবারে আত্মগোপনে থেকে বিদেশে পালিয়েছেন। এরও অনেক আগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে ক্ষমতা অপব্যবহারসহ পরস্পর যোগসাজসে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের সুদ-আসলে ১০৯  কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া কার্যালয় বাদি হয়ে ইউনাইটেড কর্মশিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ভুইয়া (৭৪) ও বগুড়া শহরের ঝাউতলা রাজা বাজারের মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর ঋণ গ্রহীতা সমীর প্রসাদ দত্তকে (৬১) আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান ভুইয়ার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়া (বর্তমান ঢাকার উত্তরা মডেল টাউনের বাড়ি নং-২৪/এ, রোড নং-২, সেক্টর-৩) মৃত মেছের আহমেদ ভুইয়ার ছেলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি ঋণ গ্রহীতা সমীর প্রসাদ দত্ত শহরের ঝাউতলা রাজা বাজারের মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর ও মৃত সামা প্রসাদ দত্তের ছেলে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বগুড়া জেলা কার্যালয়ে ওই দুইজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলাটি বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, যা বর্তমানে তদান্তাধীন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া জেলা কর্যালয়ে দায়েরকৃত এই মামলার ঘটনাস্থল হিসেবে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক বগুড়া শাখা, বগুড়া উল্লেখ করা হয়েছে এবং ঘটনাটি ঘটেছে ২০১০ সালের ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি সমীর প্রসাদ দত্তের বিরুদ্ধে মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের অনুকূলে ইউসিবিএল ব্যাংক বগুড়া থেকে টেকওভার ঋণের জন্যে যেদিন আবেদন করে সেই দিনেই কল রিপোর্ট ও লোন প্রোপজল প্রস্তুত করে শাখা থেকে হেড অফিসে প্রেরণ করে মাত্র সাতদিনের মধ্যে কোন রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই না করে ৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার সমপরিমাণের সহায়ক জামানত গ্রহণ করে ৫৮ কোটি টাকা ঋণসীমা বৃদ্ধি করে সরবরাহ করেন। পরবর্তী ছয় মাস না যেতেই ঋণ গ্রহীত ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পরে তাকে ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে কয়েকবার সুদ মওকুফ করে অবৈধ সুবিধা প্রদান, পরস্পর যোগসাজসে বিশ^াস ভঙ করে ওই ব্যাংকের সুদ-আসলে ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৫ টাকা আত্মসাৎ করে দন্ডবিধিসহ দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS