বন্যায় শেরপুরে ২৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শুক্রবার জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদীর পাড়। পাহাড়ি ঢলে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে।
আরও পড়ুনবিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন