ঠাকুরগাঁওয়ে কুকুরের উৎপাতে এলাকাবাসী আতঙ্কে
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদরে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে যখন তখন পথচারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে কুকুর। কুকুুরের ভয়ে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে এলাকায়। দলবদ্ধভাবে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিগুলোকেও আক্রমণ করছে। গত রোববার সদর মুন্সিপাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় প্রায় ১০জন বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছে।
কুকুরের আক্রমণে আহতরা হলো- সরকার পাড়া মকবুল হোসেনের শিশু কন্যা মনি আক্তার (৫), মৃত সূর্য্য মোহনের ছেলে কুলিন চন্দ্র (৫০), মৃত ক্ষির মোহনের ছেলে লঙ্কেশ্বর (৬০), মহিম উদ্দীনের স্ত্রী মসলিমা বেগম (৬৫), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৫৮), হাফিজ উদ্দীনের ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩২), মালিগাঁও গ্রামের মৃত কলিম উদ্দীনের স্ত্রী জাহানারা (৬০), সহিম উদ্দীনের স্ত্রী সালেহা বেগম (৬০), স্কুলছাত্রী ২ জন।
জনৈক শিক্ষক জানান, কুকুরের উৎপাতের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, কুকুরের আক্রমণের ভয়ে আপাতত সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। কুকুরের কারণে রাস্তাঘাটে চলাচল নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুনঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের এক ডা. বলেন, কয়েকজন কুকুর কামড়ানো রোগী হাসপাতালে এসেছিল। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে। এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে সময়মত সঠিক ব্যবস্থা বা টিকা গ্রহণ করলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। তিনি আরও বলেন, কুকুর কামড় বা আঁচড় দিলে সাথে সাথে ক্ষারযুক্ত সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধৌত করতে হবে। এরপর যথাসময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন/টিকা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন