ভিডিও

বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে রড দিয়ে ২ জনকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ০৮:১০ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০২:৩০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুরে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড দিয়ে দুইজনকে বেদমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে এলাকাবাসী তাদের গোঞ্জানির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এলাকাবাসী দৈনিক করতোয়া‘কে জানায়, চকসুত্রাপুরের জমশের কসাইয়ের তিন স্ত্রী ছিল। তিনি প্রত্যেক স্ত্রীর নামে আলাদা বাড়ি করে দেন।

আর নুর ইসলাম উক্ত জমশের কসাইয়ের বড় ছেলে। নুর ইসলামের মা তাকে ওই বাড়িটি তার নামে দেন। এদিকে নূর ইসলামের স্ত্রী সন্তান না থাকায় তিনি ভবঘুরে অবস্থায় জীবন যাপন করে আসছিলেন। তার কাছে বিভিন্ন এলাকা থেকে হোটেল বয়সহ ফুটপাতে কাজের জন্য ছেলেরা আসতো।

তিনি তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দিতেন। তারা আরও দৈনিক করতোয়া‘কে জানায়, তাকে উদ্ধার করার সময় তার মাথার কাছে ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও দলিলপত্র পড়েছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, জমিসহ বাড়িটি লিখে নেয়ার উদ্দেশ্যে অথবা ওই ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জিম্মি করতেই তাকে মারপিটে আহত করা হয়েছে। নুর ইসলামের সাথে গুরুতর আহত অবস্থায় যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সে কাজের উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে এসেছিল বলে তাদের ধারণা।

তবে গুরুতর আহত থাকায় তার নাম জানা সম্ভব হয়নি। বগুড়া শজিমেক সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) চকসুত্রাপুর এলাকার মতিন নামে এক ব্যক্তি তাদেরকে হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় এনে ভর্তি করে দেয়। তবে তারা অজ্ঞান থাকায় তাদের থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনকবলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

বগুড়া মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লালন দৈনিক করতোয়া‘কে জানান, আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টার দিকে চকসুত্রাপুরের নুর ইসলামসহ দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তাদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS