ভিডিও

নতুন সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেয়ার সংবাদ সম্পুর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন

১০ বছর ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ১০:১২ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ১১:১৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ১০ বছর ধরে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘ সময় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় সেই সময় ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেওয়া গ্রাহকরা সংযোগের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

এদিকে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় কতিপয় ব্যক্তি ও গ্যাস সংযোগ ঠিকাদার বর্তমান পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে বা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার চালিয়ে সংযোগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার নতুন কৌশলে নেমেছে।

আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানীর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক বা বাসাবাড়ি তে নতুন গ্যাস সংযোগ, লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম বা সোসাল মিডিয়ায় আবাসিকে বা বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেয়ার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পুর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।

কিছু প্রতারক চক্র জনগনকে বিভ্রান্ত করছে যা থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হলো। প্রয়োজনে  গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পশ্চিমাঞ্চলন গ্যাস কোম্পানী বগুড়ার ম্যানেজার মো. মশিউর রহমান জানান,বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা অন্য কোন মধ্যমে নতুন সংযোগ ব্যাপারে যা প্রচার করা হচ্ছে তা ভিাত্তহীন ও গুজব।

পশ্চিমাঞ্চলন গ্যাস কোম্পানী বগুড়ার একটি সূত্রে জানা গেছে ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসের দিকে দরপত্র আহবানের প্রায় ৫ মাসের মাথায় পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানীর সাথে রাইজার উত্তোলন কারি প্রতিষ্ঠানের  সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে।

প্রায় ৪ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের মে মাস থেকে আবাসিক সংযোগ দেওয়ার শুরু হয়। প্রথমে  ২০১৩ -১৪ অর্থ বছরের  জন্য এক হাজার রাইজার উত্তোলনের জন্য টেন্ডার আহবান হরা হয়। পরবর্তীতে পুনঃ দরপত্র আহবান করা হয় এবং  আড়াই হাজার রাইজার উত্তোলনের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। আর এম কন্সট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান  রাইজার উত্তোলনের কাজ পান।

এই প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থ বছর শেষ করে আরও এক মাস অতিরিক্ত কাজ করেও কাজ শেষ করতে পারেনি। প্রায় ৭ শ‘ গ্রাহকের নামে রাইজার তালিকা হলেও সে সব গ্রাহক রাইজার উত্তোলন করে নিতে না পারায় সে সময় গ্যাস সংযোগ পান নি।

এ ব্যাপারে তৎকালীন জিএম (পাইপ লাইন) মো. আনিসুল হক জানিয়েছিলেন তালিকা হওয়ার পরও যারা সংযোগ পাননি তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তালিকা শেষ হওয়ার পর নতুন তালিকা হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ হবে। ৫০ মিটার দূরত্বের অধিক লাইন দেওয়া হবেনা। এদিকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি বগুড়া অফিস সুত্রে জনা গেছে রাইজরের তালিকা ছাড়াও ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

রাইজারের তালিকায় নাম থাকার পরও যারা সংযোগ পাননি তারা অপেক্ষায় আছেন কখন সংযোগ চালু হয়। আর এটিকে পুঁজ করছে কিছু লোক। পশ্চিমাঞ্চলন গ্যাস কোম্পানী বগুড়ার ম্যানেজার মো. মশিউর রহমান আরও জানান, যাদের নামের তালিকা হয়ে আছে আগামীতে নতুন সংযোগ হলে তারা অগ্রাধিকার পাবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অদূর ভবিষ্যতে নতুন সংযোগ হতে পারে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS