ভিডিও বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়া সর. মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের  নাম পরিবর্তনসহ শিক্ষার্থীদের ১২দফা দাবি 

সংগৃহীত,বগুড়া সর. মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের  নাম পরিবর্তনসহ শিক্ষার্থীদের ১২দফা দাবি 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের নামকরণ পরিবর্তনসহ ১২ দফা দাবি উল্লেখ করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত বুধবার কলেজ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। ইতোমধ্যে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ১২ দফার মধ্যে ৮টি দফা মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৪ দফার মধ্যে ২টি মানতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন আর অবশিষ্ট ২দফা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা যাবে বলে কলেজ প্রশাসন জানান। 

শিক্ষার্থীদের ১২ দফার মধ্যে রয়েছে, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের নাম বদলে সরকারি মুজিবুর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজ নামকরণ করা, কোনো বহিরাগত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী যেন হলে অবস্থান না করেন, কলেজের হোস্টেলে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা যাবে না, কলেজকে রাজনীতি মুক্ত করা। কলেজে সকল ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়া  প্রতিটি ক্লাসে এবং ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ বক্স থাকবে এবং যেসব অভিযোগ জমা হবে সপ্তাহের একদিন ওইসব অভিযোগ তদন্ত করে তার সমাধান করতে হবে।

প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে এবং ইন্টারমেডিয়েটে শিক্ষার্থীদের ভোটে একজন ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে। কলেজের প্রতিটি বিভাগে গেস্ট শিক্ষককে অব্যাহতি দিতে হবে। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী কোন প্রকার শারীরিক, মানসিক ও মৌখিক ক্ষতির সম্মুখীন হলে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বন্টন ও তিন কর্মদিবসের মধ্যে আবাসিক কার্ড প্রদান করা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করতে হবে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা যেন প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলেন সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে। সর্বশেষ দাবি তাদের অনুমতি ব্যতিত পুরুষ অভিভাবক এবং বহিরাগত কোন পুরুষের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।

এই বিষয়ে কলেজের দর্শন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রিচি জানান, ১২ দফা দাবি আমরা কলেজ প্রশাসনের কাছে পেশ করেছি। এরমধ্যে তারা ৮টি দাবি ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছেন। বাকি ৪টির মধ্যে ২টি দাবি নিয়ে আমরা মোটামুটি এক মত হয়েছি আর অপর দুটি দাবি পূরণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে করতে হবে এজন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন বলে তারা জানান। 

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউন নবী জানান, তাদের ১২ দফা দাবির মধ্যে কলেজের নামকরণ বদল এবং গেস্ট শিক্ষক অব্যহতির যে বিষয়টি রয়েছে এই দুটি পূরণ করতে সময়ের প্রয়োজন। যেমন নামকরণ বদল এটি আমরা করতে পারবো না। এটা মন্ত্রণালয় থেকে হতে হবে। সরকার গঠন হলে আমরা তাদের কাছে সুপারিশ করলে তখন মন্ত্রণালয় এই কাজটি করবে। এজন্য সময় লাগবে। আর গেস্ট শিক্ষক অব্যহতির যে বিষয়টি রয়েছে সেটি সাধারণতঃ শিক্ষক সংকটের জন্য প্রয়োজন হয়। যে সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন কিংবা কোন বিভাগের শিক্ষক না থাকলে তখন আমরা বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ থেকে গেস্ট শিক্ষক নিয়ে এসে পাঠদানের কাজ চালায়।

আরও পড়ুন

প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে এই সংকট আর থাকবে না। আরেকটি বিষয় রয়েছে শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে।  প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। যখন যে সরকার আসে তখন সেই সরকারের নির্দেশনা মত আমাদের চলতে হয়। আর শিক্ষার্থী রাজনীতির যে বিষয়টি রয়েছে সেটি তাদের বিষয়। আমরা কখনও রাজনীতি করার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করিনা, তারা রাজনীতিতে জড়িত না হলেই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না।

চতুর্থশ্রেণির কর্মচারীদের বিষয়ে তাদের যে ২টি দাবি রয়েছে এরমধ্যে একটি আগে মানা হয় অপরটি হচ্ছে তাদের সম্মান দিয়ে কথা বলার বিষয়টি। এটি আসলে অনেক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন যাদের বয়স শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের মত, তাই হয়তো তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের তুমি বলে সম্বোধন করেন, এটি শিক্ষার্থীদের আমরা বুঝিয়েছি। এরপরও আমরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বলবো তাদের যেন সম্মান দিয়ে কথা বলেন।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

সেন্টমার্টিনের ৩টি ইকো রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ড

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার

সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা 

টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস

সংবিধানসহ চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ