আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাঈম কাসেমের মেয়াদ ‘সাময়িক’। তিনি বেশি দিন টিকবেন না। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এসব লেখেন ইয়োভ গ্যালান্ত। পোস্টে তিনি হিজবুল্লাহর নতুন প্রধানের একটি ছবিও যুক্ত করেছেন। খবর : রয়টার্স।
গ্যালান্ত লিখেছেন, ‘সাময়িক নিয়োগ, দীর্ঘদিনের জন্য নয়।’ এছাড়া হিব্রু ভাষায় লেখা আরেক পোস্টে নাঈম কাসেমের ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।’
মূলত এ কথা বলে নতুন হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিলেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরাইল। অন্যদিকে আরেক এক্স পোস্টে ইসরাইল সরকারের দাফতরিক আরবি ভাষার অ্যাকাউন্টে বলা হয়, তিনি (নাঈম) যদি তার পূর্বসূরি হাসান নাসরুল্লাহ ও হাশেম সাফিউদ্দিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, তাহলে এই অবস্থানে (হিজবুল্লাহপ্রধান) তার মেয়াদ সংগঠনটির ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত হতে পারে। একই পোস্টে সতর্ক করে আরও বলা হয়, লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই।
গতকাল মঙ্গলবার নতুন প্রধান হিসেবে ৭১ বছর বয়সী নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। এর আগে তিনি সংগঠনের উপ-প্রধান ছিলেন। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, হিজবুল্লাহ’র শুরা কাউন্সিল শেখ নাঈম কাসেমকে গোষ্ঠীটির সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নির্বাচিত করতে সম্মত হয়েছে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে জড়িত আছেন নাঈম কাসেম। ১৯৯১ সালে কাসেমকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস আল-মুসাভি উপ-প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। হাসান নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর প্রধান হওয়ার পরও কাসেম এতদিন গোষ্ঠীটির উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি গোষ্ঠীটির মুখপাত্রও।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি প্রায়ই বিদেশি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হতেন। হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পরও তিনিই প্রথম টেলিভিশনে ভাষণ দেন। নাঈম কাসেম ১৯৫৩ সালে লেবাননের দক্ষিণে বৈরুতের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে ইসরাইল লেবাননে আগ্রাসনের পর হিজবুল্লাহ গঠিত হয়। কাসেম ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। ১৯৯২ সালে দলটি প্রথম নির্বাচনের সময় থেকে তিনি হিজবুল্লাহর সংসদীয় নির্বাচনী প্রচারণার সাধারণ সমন্বয়কারী ছিলেন। কাসেম সাদা পাগড়ি পরার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তার পূর্বসূরি নাসরুল্লাহ এবং সাফিউদ্দীন হাশেম কালো পাগড়ি পরতেন যা মহানবী (সা.) এর বংশধর হিসেবে তাদের বিশেষ মর্যাদা দিতো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।