ভিডিও বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

মা-বাবাই সন্তানের আয়না

মা-বাবাই সন্তানের আয়না

লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রত্যেকটা সন্তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানসিক বিকাশ কেমন হবে তা পুরোটাই নির্ভর করে পরিবারের ওপর এবং সেই পরিবারের অন্যতম দায়িত্ব পালন করে সেই সন্তানের অভিভাবক। অভিভাবকের থেকে যা শিক্ষাই পাবে সে বড় হয়ে সেই রূপ শিক্ষাই তার জীবনে প্রকাশ করবে। 

শিশু তার বাবাকে তার মায়ের সঙ্গে যেমন আচরণ করতে দেখবে কিংবা তার বাবাকে তার দাদি’র সঙ্গে যেমন আচরণ করতে দেখবে সেই ধরনের আচরণগুলো তার মস্তিষ্কে একধরনের প্রভাব ফেলবে এবং সেই প্রভাবগুলো তার প্রতিদিনের বিকাশে কোনো না কোনো জায়গায় থেকে যাবে। তাই মায়ের প্রতি বাবার এবং বাবার প্রতি মায়ের কিংবা একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রী বা স্ত্রী’র প্রতি একজন স্বামীর আচরণ সন্তানের জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। 
সন্তানের অভিভাবক শুধু যে মা-বাবাই হবে তা নয়। তার জীবনে অভিভাবক হিসেবে আয়নার দায়িত্ব ঘরের গুরুজনরাও করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই মা-বাবা দুজনেই কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠাটাও একটু ভিন্ন হয়। তবে এই প্রভাবটা যেন সন্তানের বড় হওয়াতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায় সেই দিকটাও বিচার-বিবেচনা করতে হবে অভিভাবকদেরই। 

প্রতিটা সন্তানের জীবনে তার দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানির ভূমিকাও যে ব্যাপক তা নিয়ে একটা গবেষণা আছে। সেই গবেষণাটাই বলা যাক শিশুকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দলে তারা ছিল, যারা বেড়ে ওঠার সময় অন্তত একজন গ্রান্ডপ্যারেন্টকে (দাদা-দাদি বা নানা-নানি এই চারজনের যেকোনো একজন) পাশে পেয়েছে।
দ্বিতীয় দলে ছিল তারা, যারা কাউকেই পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু তাদের নানা বা নানি, দাদা বা দাদির সঙ্গে বড় হয়েছে, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটেছে তুলনামূলক ইতিবাচকভাবে। তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও অপর দলভুক্ত শিশুদের চেয়ে ভালো। এমনকি তাদের অসুখে ভোগার হারও ছিল কম। এসব শিশু বড় হয়ে হতাশায়ও ভুগেছে কম। এদের পারিবারিক বন্ধনও হয়েছে মজবুত। দেখা গেছে, বয়স ১৮ হয়ে যাওয়ার পরও তারা খুব কমই পরিবার ছেড়ে গেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব শিশু তাদের গ্রান্ডপ্যারেন্টের সঙ্গে থেকেছে, তাদের ওপর ‘টক্সিক প্যারেন্টিং’ ও মা-বাবার নেতিবাচক সম্পর্কের প্রভাব কম। সেসব তাদের মানসিক বিকাশে খুব কমই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিভাবকের শাসন আদর সন্তানদেরকে লালন-পালন করা কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে অভিভাবকের মানসিক চিন্তা-ভাবনার ওপর। একজন সন্তানকে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িয়ে তুলতে হলে তার সাথে সেরূপ আচরণ করতে হবে এবং একজন সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর হওয়ার জন্য তার মা-বাবার শান্তিপূর্ণ আচরণই যথেষ্ট। একটা সুন্দর পরিবার, একজন অভিভাবকই পারেন সন্তানের জীবনে একটি স্বচ্ছ আয়নার ভূমিকা পালন করতে।

আরও পড়ুন

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আদিবাসী শব্দ নিয়ে বিরোধ : পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

পুত্র সন্তানের বাবা হলেন শামীম পাটোয়ারী

বিয়ের চারদিন আগে মেয়েকে গুলি করে হত্যা বাবার

ফরিদপুরে ছয় হাজার টাকার ব্যাটারির জন্য হত্যা 

ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দুই ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে