সাফল্য নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ
স্পোর্টস ডেস্ক : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে থামলো পঞ্চপাণ্ডবের পথচলা। পাঁচ-পাণ্ডবের শেষজন হিসেবে দিল্লি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটার। সবার আগে থেমেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, এরপর তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিম। ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে চব্বিশ বিশ্বকাপেই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলার কথা জানান সাকিব আল হাসান। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন মাহমুদউল্লাহ টানলেন যবনিকাপাত। সঙ্গে সঙ্গে ওঠে অর্জনের কথা। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এই পাঁচ ক্রিকেটারের সময় ট্রফি না থাকা নিয়ে মূলত প্রশ্ন। মাহমুদউল্লাহ অর্জন আর ট্রফিকে মাপতে চাইলেন না এক পাল্লায়। ‘ট্রফি নেই এটা একটা খারাপ লাগা। কিন্তু এটা আমি মানতে রাজি না যে অর্জন নেই। ট্রফি জেতাই যদি বেঞ্চ মার্ক হয় তাহলে পৃথিবীর অনেক লিজেন্ডদেরই সম্মান দেওয়া হতো না। আমি অনেকের কাছ থেকে শুনি এমনকি সাংবাদিকদের কাছ থেকেও শুনি যে আমরা বা পঞ্চপাণ্ডব শিরোপা জেতেনি।’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১৭৭টি। জয় এসেছে ৬৮টি ম্যাচে। হার ১০৫ ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ১৩৯টা। পাঁচ জনে এক সঙ্গে ম্যাচ খেলেছেন ২৯টি। জিতেছে ১১টিতে। সবার আগে ২০১৭ সালে থেমেছেন মাশরাফি। এরপর এখন পর্যন্ত ৭ বছরে বাকি চারজন যান অবসরে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা। এছাড়া বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্যন্ত যেতে পেরেছে সর্বোচ্চ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও উইকেটের কারণে তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
মাহমুদউল্লাহর মতে বাংলাদেশের সমস্যা ছিল ধারাবাহিকতায়, ‘আমরা উন্নতি করিনি এরকম আমি বলব না। বর্তমান কিংবা অতীতে আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ কিছু অর্জনও করেছি। হয়তো ধারাবাহিকতার জায়গায় আমাদের সমস্যা ছিল। টি-টোয়েন্টি খেলতে গেলে আপনি যদি বেশি চিন্তিত অনুভব করেন, তাহলে আপনি পারফর্ম করতে পারবেন না। আমরা যদি দল হিসেবে ওটা পার হতে পারি, তাহলে ভালো করা সম্ভব। দেখুন, আমি যখন ২০০৭ সালে ড্রেসিংরুমে ঢুকি তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবস্থা এই সময়ের মতো ছিল না। আর এটা শুধু পঞ্চপাণ্ডব না, সবার অবদান আছে। কখনই শিরোপার ওপর হিসেব করে সাফল্য-ব্যর্থতা হিসেব করা উচিত না’-আরও যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।
আরও পড়ুনবাংলাদেশকে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৯ সালে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হলে তার কাঁধে আসে দায়িত্বের ভার। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ। পরে সুপার টুয়েলভে যেতে পারলেও সেখানে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের আগে হারান নেতৃত্ব, বাদ পড়েন দল থেকে।
মন্তব্য করুন