বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৯৭ রান করে ভারতের রেকর্ড
দিশেহারা বোলারদের যেন করার ছিল না কিছুই। একের পর এক বাউন্ডারি, রেকর্ড আর মাইলফলকে ভারতীয় ব্যাটাররা চালিয়েছেন তাণ্ডব।
বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট যা পেয়েছেন, তা ছিল কেবল শান্তনা। হায়দারবাদে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান করেছে স্বাগতিকরা। আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে অথবা এমন দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের করা ৩১১ রান সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ।
টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, আগে ফিল্ডিং করতে আপত্তি নেই তার। সময় যত গড়িয়েছে, নিজের বলা কথাটা নিয়ে হয়তো আফসোসই করেছেন তিনি। ভারতের ব্যাটারদের ঝড়ে একের পর এক রেকর্ডে তার কেবল হতাশাই বেড়েছে।
বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম উইকেট পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি। তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে অভিষেক শর্মা ক্যাচ দেন মাহেদী হাসানের হাতে। ওটুকু অবধিই। এরপরই অবিশ্বাস্য এক জুটিতে বাংলাদেশকে তুলোধুনার শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব ও সাঞ্জু স্যামসন।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৮২ রান তুলে ভারত। এটিই তাদের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ, এর আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুবাইয়ে করা ৮২ রান ছিল সর্বোচ্চ। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই দলীয় শতরান পূর্ণ করে ভারত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে কখনো এত দ্রুত দলীয় রানের শতক পূরণ করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের বোলাররা দিশেহারা হয়ে পড়েন একেবারেই। সবকিছু ছাড়িয়ে যায় রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারে। প্রথম বলটি ডট দেন সাঞ্জু স্যামসন, এর পরের পাঁচটি বলেই হাঁকান ছক্কা। দশ ওভার শেষে ভারতের রান হয় ১৬৬, এটিও সর্বোচ্চ।
এরপর ১৩তম ওভারে মাহেদী হাসানকে চার হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সাঞ্জু স্যামসন। তার ৪০ বলের সেঞ্চুরি পূর্ণ সদস্য দেশের ব্যাটারদের মধ্যে চতুর্থ দ্রুততম।
সূর্য ও স্যামসনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে যখন আর পথ খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, তখন কিছুটা স্বস্তি এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংসে ৪৭ বলে ১১১ রান করেন মোস্তাফিজ। শেষ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও উইকেটের দেখা পান। ৩৫ বলে ৭৫ রান করা সূর্য তার বলে ক্যাচ দেন রিশাদ হোসেনের হাতে। তার সঙ্গে স্যামসনের জুটিটি ছিল ৭০ বলে ১৭৩ রানের।
কিন্তু দুই উইকেট নিয়েও ঝড় থামানো যায়নি। ১৪ ওভারের মধ্যেই দুইশ ছুয়ে ফেলে ভারত। এটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। শেষ ওভারে গিয়ে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে তিনশ রান করা থেকে আটকে রাখেন তানজিম হাসান সাকিব।
মন্তব্য করুন