আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি বর্বরতায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য এবার যোগ হলো লেবাননের নাম। দুই অঞ্চলেই ইরানের মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে চিরশত্রু ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে মিত্রদের রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরান গাজা বা লেবাননে সেনা পাঠাবে কিনা। অবশেষে সে বিষেয় স্পষ্ট করল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলল, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লেবানন বা গাজায় সেনা পাঠাবে না তেহরান। খবর : আরটির।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেহরান যুদ্ধ চায় না। তবে যুদ্ধকে ভয়ও করে না। একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের পক্ষে রয়েছে ইরান। সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইরানের অতিরিক্ত বা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পাঠানোর প্রয়োজন নেই। লেবানন ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের যোদ্ধারা (ইসরায়েলি) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সক্ষমতা ও শক্তি রাখে। তিনি বেলন, এই বিষয়ে আমরা কোনো পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ পাইনি। বরং আমরা জানি এবং নিশ্চিত যে আমাদের বাহিনীর সাহায্যের প্রয়োজন তাদের নেই। তবে ইরানি জনগণ, সামরিক কর্মী ও প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে অপরাধ করেছে, তার জন্য ইসরায়েলকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। গত দুই সপ্তাহে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের তালিকায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।