পিটিআইয়ের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসলামাবাদে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ
পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সমর্থকদের সরকারবিরোধী সমাবেশ ঠেকাতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করাসহ দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন করে রেখেছে পাক সরকার।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছিল পিটিআই।তাছাড়া, ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখানোও ছিল এই সমাবেশের লক্ষ্য। এই সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে আসছে পিটিআই। জালিয়াতির নির্বাচনের পর এ সরকার গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
ইসলামাবাদে ঢোকা এবং বেরোনোর পথ শিপিং কন্টেইনার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে পথ পাহারা দিয়ে রেখেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং প্যারামিলিটারি সেনা। কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। পুলিশ রাজধানীতে কোনওরকম জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কেউ ইসলামাবাদ তছনছ করার পরিকল্পনা করলে আমরা তা হতে দেব না।”
ইসলামাবাদে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এর বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য তিনি ইমরান খানের দল পিটিআই-কে সম্মেলন পরবর্তী কোনো দিনে সমাবেশ করতে বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভি বলেন, “এসসিও সম্মেলনের আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম পাকিস্তান সফর করছেন, এরপর একে একে সফরে আসবেন উচ্চ-পদস্থ সৌদি প্রতিনিধিরা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং। আমরা কোনও বিশৃঙ্খলা হতে দিতে পারি না।”
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, “সম্মেলনের আগে রাজধানীতে কোনো বিক্ষোভই বিশ্বে ভাল সংকেত পাঠাবে না।”
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান উপেক্ষা করে এবং সব বাধা ঠেলে ইমরান খান তার সমর্থকদেরকে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হতে বলেছেন। শুক্রবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি চাই আপনারা সবাই আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামাবাদের ডি চক এলাকায় পৌঁছান।”
ওই এলাকাটি পার্লামেন্টের বাইরের স্থান। ইমরান লেখেন, “এই যুদ্ধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।”
ইমরান খান ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে জেলে থাকলেও তার সমর্থন পাওয়া প্রার্থীরা ফেব্রুয়ারির সাধারন নির্বাচনে বেশিরভাগ আসন জিতেছে, যদিও সরকার গঠনের জন্য তাদের সংখ্যা যথেষ্ট ছিল না। ফলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বধীন বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করেছে।
মন্তব্য করুন