ভিডিও

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন মার্কিন দুই বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৭, ২০২৪, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ০৭, ২০২৪, ০৮:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অতিক্ষুদ্র মাইক্রো আরএনএ আবিস্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। বাংলাদেশ সময় সোমবার ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট তাদের নাম ঘোষণা করে। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।

চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা আজ শুরু হলো চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে। প্রথা অনুযায়ী, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হলো চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কারজয়ীর নাম। এরপর ছয়টি বিভাগের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যা, বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৪ অক্টোবর অর্থনীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।

নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। 

গত বছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রথম দিন করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। নোবেল বিজয়ী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান। এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিল। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে। এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। এছাড়া সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের নাম এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ বছর চীনের লেখন ক্যান সুইকে বেছে নেবে সুইডিশ একাডেমি।

তবে সুইডেনের সংবাদপত্র ড্যাজেন নাইহেতারের সংস্কৃতি সম্পাদক বর্ন উইম্যান বলেন, এ বছর ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো ভাষার কোনো নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল পাবেন। এর আগে শেষ ২০১২ সালে চীনা লেখন মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল পান।

এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার উপন্যাসিক জেরাল্ড মারনানি, যুক্তরাজ্যের লেখক সালমান রুশদি, আর্জেন্টাইন–আমেরিকান লেখক জ্যামাইকা কিনকেইড, কানাডার কবি অ্যান কারসন, হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই, রোমানিয়ার মিরসিয়া কার্তারেস্কু, কেনিয়ার এনগুগি ওয়া থিওং’ও এবং জাপানের হারুকি মুরাকামির নামও আলোচনায় রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS