আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় ৫৮ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তার গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে কৈলাশপুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার পুলিশের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে একটি মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ছেলেটি ওই নারীর মুখে প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং কাপড় ঢুকিয়ে টেনেহিঁচড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে যায়। এরপর ওই নারীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গোপনাঙ্গে, মাথা, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাস্তে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
‘দুই বছর আগে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগী নারীর পরিবার। এর জেরেই প্রতিশোধ নিতে নারীকে হত্যা করে কিশোর। ঘটনার দিন ওই নারীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারও লুট করা হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিবেক লাল বলেন, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারি একটি নির্মাণাধীন ভবনে ওই নারীর মরদেহ পড়ে আছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে ওই কিশোরের নাম উঠে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারও ছেলেটিকে সন্দেহ করে। পরিবার জানায়, কিশোর টেলিভিশন দেখতে বাড়িতে আসত। এরপর সে একদিন মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে পরিবার ও কিশোরের মাঝে শত্রুতা তৈরি হয়।’
এএসপি বিবেক লাল জানান, তাকে কিশোর হোমে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, চুরিসহ নানা অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।