আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর দাবিতে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কৃষকরা মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে ২০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছে। বিক্ষোভের কারণে কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ চাষীদের জন্য কিছু আর্থিক ত্রাণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু কৃষকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা পেঁয়াজ কাটতে এবং বাজারে নিয়ে যেতে শ্রমিক নিয়োগের জন্য অর্থ ব্যয় করতে চান না। কারণ তারা ফসল উৎপাদনের খরচই তুলতে পারছেন না। কৃষকদের মধ্যে একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠানোর পর হতাশায় তার ফসল পুড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যরা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পেঁয়াজের পার্সেল পাঠিয়েছেন।
ভারত বছরে দুই কোটি ৪০ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করে। চীনের পর ভারত হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ। রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই অর্ধেকেরও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ভারত তার মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রপ্তানি করে। দেশটিতে পেঁয়াজের দাম অত্যন্ত অস্থির। বেশিরভাগ ভারতীয় রাজ্যে সবজিটি রন্ধনপ্রণালীর একটি প্রধান অংশ এবং এর পচনশীলতার কারণে এটি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের দাম কমার কারণ হচ্ছে, জনবহুল উত্তরের রাজ্যগুলোতে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে এবার পেঁয়াজের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে।
ভারতে দুটি ঋতুতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়- বর্ষা ও শীত। বর্ষার ফসল সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম দিকে কাটা হয়। এই পেঁয়াজের মজুত সময় কম এবং দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে হয়। মার্চের মাঝামাঝি থেকে কাটা শীতকালীন ফসল দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যায়।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের জন্য মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ রুপি পাচ্ছেন। অথচ এই দাম ১০০ রুপির ওপরে থাকলে কৃষক ৪০০ রুপি লাভ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।