আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাপের ছোবল খাওয়া যুবক জ্যান্ত সাপ নিয়ে হাজির হাসপাতালে। তার জেরেই আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঝাড়খন্ডের চাকুলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল দাস নামে এক যুবককে সাপে ছোবল মারে। বর্তমানে তাঁর ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পরে বন দফতর সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পাঠায়।
বুধবার ঝাড়খন্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার চাকুলিয়া থানার অন্তর্গত কামারিগড়া গ্রামের ৩০ বছরের চঞ্চল দাস নামের এক যুবক সাদা খরিসের ছোবল খায়। জানা গিয়েছে, এই চঞ্চল দাস এলাকায় সাপ বিশেষজ্ঞ নামেই পরিচিত। কারও বাড়িতে বা কোথাও সাপ দেখা গেলে এই চঞ্চলকে জানালে চঞ্চল সাপ উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সাপগুলিকে ছেড়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত চঞ্চল অজগর, শিয়াল চাঁদা, খরিস সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০০টিরও বেশি সাপ উদ্ধার করেছে। এদিন দুপুর সাড়ে বারটার সময় চঞ্চলের কাছে খবর আসে চাকুলিয়ার একটি রাইস মিলে একটি বিষধর সাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। চঞ্চল সাপটিকে উদ্ধার করতে যায়। সাপটিকে ধরে ফেলে চঞ্চল।
সাপটিকে জারে ভরার সময় হঠাৎ করে সাপটি চঞ্চলের ডান হাতে ছোবল মারে। তারপরে ছুরি দিয়ে ক্ষতস্থান কেটে রক্ত বার করে দেয় চঞ্চল। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চলকে দেখার পর জানতে চায় কী সাপে কামড় দিয়েছে? তারপরেই চঞ্চলের ভাই প্রদীপ দাস ব্যাগ থেকে বার করে প্লাস্টিকের বড় চকলেটের জার।
আর তার মধ্যেই ফঁস ফঁস করছে সাদা খরিস সাপ। প্রদীপ অবশ্য জারের মুখ খুলে সাপটি দেখান চিকিৎসককে। তবে চিকিৎসকের পাশে থাকা নার্স এবং অন্যান্য রোগীর প্রয়োজনেরা রীতিমতো সাপের গর্জন শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বর্তমানে চঞ্চল ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।