জাপানে এক গ্রামে ২৫ বছরেও জন্ম নেয়নি কোন শিশু!

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৩:২৭ দুপুর
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৩:২৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় ৭ বছর আগে জন্ম হয় কেনতারো ইয়োকোবারির। জন্মের সময় সে ছিল ২৫ বছরের মধ্যে কাওয়াকামি গ্রামে জন্ম নেওয়া একমাত্র নবজাতক। তার জন্ম গ্রামবাসীর কাছে অলৌকিক ছিল। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাকে দেখতে মিহো ও হিরোহিতো দম্পতির বাড়িতে ভিড় করেছিলেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

জাপানের সোগিও জেলার প্রত্যন্ত এ গ্রামটির প্রায় সবাই প্রবীণ। তাদের মধ্যে কিছু শিশু রয়েছে, যারা সবেমাত্র হাঁটতে পারে। ইয়োকোবারির জন্মের সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে মিহো বলেন, তাকে দেখে গ্রামের সবাই খুব খুশি হয়েছিলেন। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করা বয়স্ক নারীরাও আমার বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। নবজাতক ছাড়া গ্রামটিতে জনসংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে ১ হাজার ১৫০ জনে নেমে এসেছে। যেখানে ৪০ বছর আগেও গ্রামটির জনসংখ্যা ছিল ৬ হাজার। অনেকে গ্রামটি ছেড়ে চলে যাওয়ায় এবং বয়স্কদের মৃত্যুর কারণে কাওয়াকামিতে জনসংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। অনেক বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।

কাওয়াকামি জাপানের অসংখ্য ছোট গ্রামীণ শহর ও গ্রামগুলোর একটি, যেগুলো ধীরে ধীরে মানুষহীন হয়ে পড়ছে। দেশটির ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন টোকিও, ওসাকা ও কিয়োটোর মতো শহুরে এলাকায় বাস করেন। এ পরিস্থিতি গ্রামীণ এলাকা এবং বনজ ও কৃষির মতো শিল্পগুলোকে একটি গুরুতর শ্রমঘাটতির সম্মুখীন করেছে। ২০২২ সাল নাগাদ কৃষি ও বনায়নে কর্মরত লোকের সংখ্যা ১৯ লাখে নেমে এসেছে। ১০ বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার।

এসব তথ্য জাপানে প্রকট জনসংখ্যার সংকট তুলে ধরছে। কেবল গ্রামেই নয়, দেশটির শহরেও জনসংখ্যা দ্রুত কমছে। জন্মহার বাড়াতে দেশটির সরকারের উদ্যোগও কাজে আসছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়