লাইফস্টাইল : স্মার্টফোন হাতে চলে আসার পর থেকে বেশির ভাগ প্রেমই বন্দী হয়ে পড়েছে মুঠোফোনের ছোট্ট স্ক্রিনে। শুধু বন্দী হয়ে পড়েছে বললে ভুল হবে, বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ প্রেম শুরুও হচ্ছে স্মার্টফোনে। পরিচয় থেকে পরিণয়—সবটাই ঘটছে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ও অ্যাপে। যে কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কটাও বেশ ধূসর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলা, যখন–তখন চাইলেই যোগাযোগ করতে পারার সুবিধা যেমন আছে, তেমনই চাইলেই যখন–তখন মনের মানুষকে একনজর দেখতে পারাও সম্ভব। যে কারণে বেড়েছে হাইব্রিড ডেটিং।
তবে এ ধরনের সম্পর্কে ভুল মানুষের প্রেমে পড়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। একটা মানুষের কাছে বসা, হাত ধরা বা তার শরীরী ভাষা বোঝার কোনো উপায় অনলাইনে থাকে না। প্রেমের এই পালে হাওয়া দিয়েছে ডেটিং অ্যাপগুলো। করোনার সময়ে সবাই যখন ঘরবন্দী, বাইরে বেরোনোই যখন ভয়ের, তখন যুগলেরা বেছে নিয়েছিলেন এই হাইব্রিড ডেটিং। কথা বলা, দেখা করার সবটাই যখন স্ক্রিনের ভেতরে থেকে হচ্ছে, তাহলে রোমান্টিক ডেটটাই–বা বাদ পড়বে কেন? ফোনের স্ক্রিনের সামনে কিছুটা সময় একে অপরের সঙ্গে কাটানো, অস্থির সময়ে এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর কীই–বা হতে পারে!
হাইব্রিড ডেটিং কী
চিঠির প্রেম এখন ডেটিং অ্যাপে ঢুকে গেছে। ফোনের স্ক্রিন ডান-বাঁ করলেই মিলছে পছন্দের মানুষ। বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ কয়েকটি ডেটিং অ্যাপ। সেখান থেকেই অনেকে খুঁজে নিচ্ছেন পছন্দসই সঙ্গী। ডেটিং অ্যাপে পরিচয়, অতঃপর কথা বলা, দেখা করা। মনের সঙ্গে মন মিললেই মন দেওয়া-নেওয়া, এ সমীকরণকেই আরও এক ধাপ উপরে নিয়ে গেছে হাইব্রিড ডেটিং।
হাইব্রিড ডেটিং অনেকটা হাইব্রিড অফিসের মতো। করোনাকালীন প্রায় প্রতিটি অফিসই যেমন বাড়িতে চলে গিয়েছিল, হাইব্রিড ডেটিংও অনেকটা তেমন। শুধু কাজের পরিবর্তে প্রেম। প্রেম করা মানেই নিয়মিত দেখা করা, একই সঙ্গে সময় কাটানো, এ ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে আসছে এই প্রজন্ম; বরং তারা প্রেম করার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে হাইব্রিড ধারণা। যেখানে কালেভদ্রে হয়তো দেখা হবে, কিন্তু প্রেমের বড় একটা অংশই থাকবে স্ক্রিনবন্দী। তাদের ডেটগুলোও হবে ভিডিও কনফারেন্সে। তবে এটাকে ভিডিও কলে শুধু কথা বলা ভেবে থাকলে ভুল হবে। হাইব্রিড ডেটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা, পছন্দের মানুষের জন্য সারপ্রাইজ, সবকিছুই থাকে। পার্থক্য শুধু একটাই, সামনাসামনি দেখা হওয়ার বদলে ডেটিং হয় ভিডিও স্ক্রিনে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।