আমেরিকা জুড়ে তখন ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে।জর্জিয়ার কলম্বাসে যুদ্ধের ময়দানে গুরুতর আহত হলেন এক কর্ণেল।এই ঘটনাই জন্ম দিল এক বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান কোমল পানীয় কোম্পানি কোকাকোলার।
এটি প্রথমে বিক্রি হয়েছিলো একটি পেটেন্টভুক্ত ওষুধ হিসেবে। প্রতি গ্লাস ৫ সেন্ট দামে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো – এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই এটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাজারজাতকরণের প্রথম বছরে কোকা-কোলা বিক্রয় হয়েছিল নয় গ্লাস। বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে কোমল পানীয় হিসেবে প্রতিদিন কোকা-কোলা বিক্রয় হয় প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস।
গৃহযুদ্ধে আহত হয়েছিলেন জন পেম্বারটন। মারাত্বকভাবে জখম হওয়ার পর ডাক্তার তাকে উচ্চ ডোজের মরফিন দিলেন যেন মারা যাওয়ার আগের সময়টা একটু শান্তিতে থাকতে পারেন।কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গেলেন।তখন গৃহযুদ্ধের আহত সবাইই চিকিৎসার জন্য নেওয়া ব্যাথানাশক মরফিনে আসক্ত হয়ে পড়েন।জন স্মিথ পেমবার্টন হলেন কোকা-কোলার আবিষ্কারক,পেশায় তিনি ছিলেন একজন হাতুড়ে ডাক্তার বা রসায়নবিদ।
তিনি তাঁর তৈরি করা ওষুধ ফেরি করে বিক্রি করতেন, আর অবসরে আবিষ্কারের নেশায় মেতে থাকতেন। ১৮৮৬ সালে তিনি এক ধরনের সিরাপ আবিষ্কার করেন। তাঁর দাবি ছিল সিরাপটি মাথা ব্যথার টনিক হিসেবে চমৎকার কাজ করে। প্রথমদিকে সেটি ঠাণ্ডা পানির সাথে মিশিয়ে প্রতি গ্লাস ৫ সেন্ট করে বিক্রয় করা হতো। ভালই চলছিল ব্যবসা, এরই মাঝে এক কাণ্ড ঘটলো। একদিন দোকানে এক লোক এলো প্রচণ্ড মাথাব্যথা নিয়ে, এসেই এক গ্লাস সিরাপ চাইলো। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে সিরাপ ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে কার্বোনেটেড মেশানো পানির সাথে মিশ্রিত ছিল। মজার ব্যাপার লোকটি সেই বিচিত্র সিরাপ খেয়ে দারুণ আনন্দ পেলো!তখনই পেমবার্টনের মাথায় আইডিয়া এলো এই পানীয়টি বাজারজাত করার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।