বয়স ৩০ পেরোলে দাঁতের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। মুখের স্বাস্থ্য সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর শক্ত প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলছে, মুখের মধ্যে যেকোনো রোগ (দাঁতে গর্ত, মাড়ি রোগ বা ক্ষত) পুষে রাখলে বা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই কিছু বিষয় মেনে চললে দাঁতের এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।সকালে উঠে দাঁত মাজার থেকেও বেশি জরুরি রাতে খাওয়ার পর দাঁত মাজা। রাতে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই দাঁত মজুন।
তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। তবে শক্তের চেয়ে নরম ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। দাঁত তুলে সেই জায়গায় নকল দাঁতও বসানো যায়। প্রথমত অস্থায়ী নকল দাঁত লাগানো যেতে পারে।
এই দাঁত ইচ্ছে মতো খুলে ফেলা যায়। কিন্তু তিরিশেই এই ধরনের দাঁত লাগানো সমস্যা। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী নকল দাঁতও লাগাতে পারেন। এ ছাড়া ডেন্টাল ইমপ্লান্টের মাধ্যমে নতুন তৈরি করা দাঁত বসানো যায়। তবে সবার আগে দেখতে হবে,কোনটি আপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত।
আর এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময়ে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্ত পড়ে। এ ক্ষেত্রে ঘরে বসে না থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতে পোকা বলে কিছু হয় না। দাঁতের ক্যাভিটির দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা না হলে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। চলতি কথায় একেই দাঁতের পোকা বলে। ক্যাভিটি হল দাঁতের ছিদ্র। ফিলিং করলে খাবার দাঁতের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে না, ফলে দাঁতে ব্যাথাও হয় না। এমন সমস্যায় ভুগলে ক্যাভিটিকে বাড়তে না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।