ফুটপাতের জনপ্রিয় ৬ খাবারে ডায়রিয়ার জীবাণু!
লাইফস্টাইল : সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুটপাতের খাবার। দামে কম হওয়ায় সব বয়সি মানুষকেই এখানে ভীড় জমাতে দেখা যায়। ফুটপাতের দোকানগুলোতে দূষিত পানি, নোংরা গামছা, এবং খোলা নোংরা পরিবেশে অপরিষ্কার হাতে খাবার প্রস্তুত এবং পরিবেশন করা হয়। এতে খাবার অস্বাস্থ্যকর এবং মারাত্মক সব জীবাণুতে পরিপূর্ণ থাকে। এসব খাবার খেলে ডায়রিয়াসহ হতে পারে নানা রোগ।
সম্প্রতি ফুটপাতের জনপ্রিয় ৬ ধরনের খাবারে উচ্চমাত্রার ডায়রিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। খাবারগুলো হলো- ছোলামুড়ি-চটপটি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা জুস, মিক্সড সালাদ। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ৯ জুন সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ সায়েন্সের প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর বলেন, ‘রাজধানীর রাস্তায় বিক্রি হওয়া ছয় ধরনের খাবার- ছোলামুড়ি, চটপটি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা জুস, মিক্সড সালাদে মাত্রাতিরিক্ত ই-কোলাই, ভিবরিও এসপিপি ও সালমেনেলার মতো মারাত্মক সব ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব ব্যাকটেরিয়া মানুষের পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে বড় রকমের ডায়রিয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাস্তায় ৬ ধরনের খাবারের ৪৫০টি স্যাম্পলের ওপর ভিত্তি করে এ গবেষণা করা হয়েছে। যারা রাস্তার পাশে খাবার বিক্রি করেন তাদের পানি দূষিত, হাত অপরিষ্কার, গামছা নোংরা এবং আশপাশের পরিবেশ ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ।
এমন অবস্থায় খুব সহজেই এসব জীবাণু খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাদের আক্রান্ত করছে।’ এই জীবাণু থেকে সুরক্ষা পেতে করণীয় বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যারা রাস্তার পাশে যত্রতত্র খাবার বিক্রি করেন তাদের খাবার বিক্রির কোনো সনদপত্র নেই। তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। স্ট্রিট ফুড অর্থাৎ রাস্তার খাবার বিক্রেতাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা গেলে তাদেরও এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি জেলায় কী পরিমাণ ফুড লাইসেন্স আছে এবং এই লাইসেন্সের আওতার বাইরে কারা খাবার বিক্রি করছেন, সেটি যাচাইয়ের আওতায় আনতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি লাইসেন্সের আওতায় একাধিক খাদ্যদ্রব্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন