মেকআপ তোলার সঠিক নিয়ম
যদি ভালোভাবে মেকআপ না তোলা হয় তাহলে বাঁধে বিপত্তি। মুখ-ভর্তি ব্রণ, র্যাশ, নিষ্প্রাণ ত্বক, ত্বকের পোর বড় হওয়া নিয়ে নানা জটিল সমস্যা তখনই শুরু হয়ে যায়। তাই শুধু ত্বকে মেকআপ করলেই হবে না। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।
ফেসওয়াশের ব্যবহার
মেকআপ তুলতে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই মেকআপ ত্বক থেকে ভালোভাবে তোলা হয়ে যায় না। মেকআপ ভালোভাবে তোলার কিছু নিয়ম রয়েছে। সঠিকভাবে মেকআপ তোলার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত সতেজ ও স্নিগ্ধ থাকে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করাটা প্রথমেই প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত নয়।
মেকআপ রিমুভার লোশন
সবার প্রথমে মেকআপ রিমুভার লোশন বা যেকোনো স্কিন ওয়েল মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এভাবে মেকআপ খুব সহজে উঠে আসে এবং একই সঙ্গে ত্বকে বেশি ঘষা লাগে না। ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা ঘষাঘষি ঠিক না। তা করলে ত্বক সহজেই ঝুলে যায়।
তোয়ালের ব্যবহার
ফেস টিস্যু নিয়ে আলতো করে ঘষে মেকআপ তুলতে হবে। ছোট ফেস তোয়ালেগুলো ব্যবহার করা ভালো যেহেতু এই তোয়ালেগুলো খুব নরম হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মেকআপ রিমুভার নিয়ে আরেকবার পুরো ত্বকে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে মেকআপ তুলে নিতে হবে।
মেকআপ রিমুভার
অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বক বা সেনসিটিভ ত্বকের মেকআপ রিমুভার বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাবে। নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক হলে যেকোনো ব্র্যান্ডের মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো ব্র্যান্ডের রিমুভার ব্যবহার করাই ভালো। এরপরের ধাপে ত্বক অনুযায়ী একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে, যাতে করে মেকআপ ভালোভাবে ওঠে এবং রিমুভার লোশন, তেল কোনোকিছুই ত্বকে অবশিষ্ট না থাকে। ফোম ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এভাবে ত্বকের তেল, ধুলো, মেকআপ সবই ভালোভাবে রিমুভ হয়ে যাবে। মেকআপ এই পদ্ধতিতে রিমুভ করাকে বলা হয় ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি। মেকআপ তুলে অবশ্যই ভালো একটা টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক দিন দিন নিষ্প্রাণ হতে থাকবে বা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা শুরু হবে।
মন্তব্য করুন