ভিডিও

বাংলাদেশ-ভারতের টি-টোয়েন্টিতে গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ০৬:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশ দলের ভারত সফরের শুরু থেকে সেস্থানের স্থানীয় কয়েকটি উগ্র সংগঠন হুমকি দিয়ে আসছিল। দুই টেস্টের সিরিজে এর কোনো প্রভাব না পড়লেও টি-টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফের সক্রিয় হয়েছে তারা।

কিন্তু গোয়ালিয়রে প্রথম ম্যাচ ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে জানানো হয়, আগামী ৬ অক্টোবরের ম্যাচ ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে গত আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে রোববারের ম্যাচটি বাতিলের দাবি তুলেছিল হিন্দু মহাসভা ও কয়েকটি সংগঠন।  

ম্যাচটি হবে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠে এটিই হবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরমধ্যেই হিন্দু মহাসভা ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’–এর ডাক দেয়। এছাড়া আরও কয়েকটি সংগঠন ম্যাচ বাতিলের দাবি জানায়।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন দুই দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের হোটেল ছেড়ে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পিটিআই জানায়, ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিংবা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় এমন কোনো ভিডিও, ছবি, অডিও, ব্যানার, পোস্টার, পতাকা, কাটআউট বহন বা প্রচার করা যাবে না। এছাড়া পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া, আতশবাজী, ধারালো অস্ত্রপাতি ও দাহ্য পদার্থ বহন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS