ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত অভ্যুত্থান এবং কিছু প্রেক্ষাপট
মো. খবির উদ্দিন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ক্লান্তিহীন এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল কোটা সংস্কার। শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনে সরকারের অতি কথন, ভুল বক্তব্য ও বর্বরোচিত হামলা ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেতে রসদ জুগিয়েছে। কোটা সংস্কার থেকে পরবর্তীতে সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেয়। অনির্দিষ্ট গন্তব্য, প্রতিদিনই লাশের মিছিল হুমকি ধমকি উপেক্ষা করে বিজয়ের শেষ লক্ষ্যে পৌঁছানো এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। যেখানে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে, পঙ্গুত্বের ঝুঁকি আছে, গুম খুন অপহরণের ঝুঁকি আছে যেখানে পরিবারের বেঁচে থাকার ঝুঁকি আছে সেখানে সকল ঝুঁকিকে আলিঙ্গন করে বাংলার দামাল ছেলেরা বিরামহীনভাবে সামনে এগিয়েছে, হয়ত আন্দোলনকারীরা বহুরাত ঘুমায়নি, বহুদিন অর্ধাহারে-অনাহারে থেকেছে সংগ্রামী ছাত্রসমাজ তা প্রকাশ করেনি। সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ আন্দোলনরতদের সাহস যুগিয়েছে। শিক্ষকদের ন্যায়সংগত প্রতিবাদী বক্তব্য ছাত্রদের মনের শক্তিকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতি তাকিয়ে তাকিয়ে ছাত্রদের পাওয়ার দেখছে। বর্তমান ছাত্রসমাজের কাছ থেকে রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। ছাত্ররা আন্দোলনে রাজপথে নামাজ পড়েছে এটা গোটা মুসলিম জাতিকে অভিভূত করেছে। ছাত্রদের ন্যায্য দাবির সাথে একপর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেছে। জেলজুলুম বুলেট হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছে। বাংলার জনগণ কোনদিনও এই আত্মত্যাগকে ভুলবে না।
‘৯০-এর এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থান আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বৈরাচার হটাও আন্দোলন। সেই আন্দোলনে অনেকের সাথে ডা. মিলন ও চুন্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ছাত্রদের আন্দোলন কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল দখলের জন্য দুটো অ্যাম্বুলেন্সসহ সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর প্রবেশ। উদ্দেশ্য সূর্যসেন হল দখল। বেলা তখন দশটা অতিক্রম করেছে। বহিরাগতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুহূর্তেই ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় গোলাগুলি। প্রায় সাড়ে পাঁচশত রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। ঘটনার সময়ে আমরা আর্টস ফ্যাকাল্টির দ্বিতীয় তলায় একদম পশ্চিম পার্শে¦ ড. রুহুল আমীন স্যারের ক্লাস করছিলাম। ক্লাস বন্ধ করে আমরা সংঘর্ষ দেখছি। বহু চেষ্টা করেও ছাত্রদের তীব্র প্রতিরোধের কারণে সূর্যসেন হল দখল করা সম্ভব হয়নি। যেই অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছিল সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ফেরত চলে গিয়েছিল ক্যাডার বাহিনী। বেশ কয়েকদিন টানা আন্দোলন। আন্দোলন তুখোড় হলো। পুলিশের গুলি টিয়ারসেল রাবার বুলেট উপেক্ষা করে প্রতিদিনই রাজপথ কাঁপানো সৈ¦রাচারবিরোধী মিছিল। সেই অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান। অভ্যুত্থানের একপর্যায়ে এরশাদ দু’হাত রক্তে রঞ্জিত করে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য অতি বাড়াবাড়ি করেছিলেন এরশাদ, শেষ রক্ষা হয়নি।
আমরা কখনও কোন ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না। যারা রাজনীতি করেন তাদের জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হয়। অতি বাড়াবাড়ি একসময় বিপর্যয় ডেকে আনে। একটানা দীর্ঘ নয় বছর দেশ শাসন করেছেন হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু দল তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই নব্বইয়ের পরে জাতীয় পার্টি আর মেরুদণ্ড টান করে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী হয়েই থাকতে হয়েছে। শুধু দেশ শাসন করার অর্থই রাজনীতি নয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিবিদদের ইতিবাচক পরামর্শ দিয়ে ক্ষমতার বাহিরে থেকেও রাজনীতি করা যায়।
ক্ষমতার দীর্ঘতা একসময়ে মানুষকে অহংকারী ও স্বৈরশাসকে রূপান্তরিত করে। ইতিহাস থেকে আমরা কেউ শিক্ষা গ্রহণ করি না। তাই আমরাও ইতিহাসের পাতায় নেতিবাচক ইতিহাস হয়ে জায়গা দখল করি। রাজত্ব-সম্মান-অর্থ-বিত্ত-বৈভব-ক্ষমতা কারো চিরদিন থাকে না। এ বিষয়ে আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনেই স্পষ্ট করে বলা আছে বল, ‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন, আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’। সূরা ‘আল ইমরান’ আয়াত-২৬।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের মাধ্যম হল ভোটাধিকার প্রয়োগ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সরকার গঠনের সুযোগ করে দেবে। এ জন্য জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগের অধিকার দিতে হবে। জনগণকে যারা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারাই স্বৈরশাসকে পরিণত হয়। জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ ও ক্ষমতা ভোগ একসময়ে জনবিচ্ছিন্ন সরকারে রূপান্তরিত হয়। এই ধরনের সরকারদের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। এরা জনগণের মতামতের কোন তোয়াক্কা করে না। এরা সর্বদা দখল, জুলুম, নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ধোঁকা দিয়ে অর্থপাচারে ব্যস্ত থাকে। পরিণতিতে সরকার সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় পরবর্তী বেশ কিছু সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কিছু আবেগে হয়েছে এবং বেশ কিছু পরিকল্পিত বলে মনে হয়। দেশে অনেকগুলো পুলিশ স্টেশন (থানা) আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। এই ঘটনাগুলোর সাথে কোন স্বার্থান্বেষী মহলের মদদকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে বিশ্লেষক মহল। প্রতিটা মহল্লায় ডাকাতের উপস্থিতি টের পাওয়ার মাধ্যমে পুলিশের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা গেছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ বাহিনী বেশ বাড়াবাড়ি করেছে। এটা অমার্জনীয় কিন্তু তারা তাদের বক্তব্যে বারবারই জনগণকে বলে এসেছেন তারা কোন গোষ্ঠীর কমান্ড ফলো করতে গিয়ে তাদের এই দায় কাঁধে নিতে হয়েছে। তবে হ্যাঁ পুলিশের মধ্যে অতি উৎসাহী কেউ হয়ে থাকলে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলই ক্লিয়ার করতে পারবে, আমজনতা নয়।
আন্দোলন পরবর্তী সংখ্যালঘুদের মন্দির, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক খবর এসেছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিত অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডই ফেক বলে খবর বেরিয়ে এসেছে। অনেকটাই ফাইল ফটো বলে দাবি করছেন বিশ্লেষক মহল। এই উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড যারা ঘটাচ্ছে এবং যারা এর নেপথ্যে কাজ করছে তাদের শনাক্ত করা হলে অতিদ্রুত পরিবেশ শান্ত হবে বলে জনসাধারণের ধারণা।
আরও পড়ুন
দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকা অনেকটা গতিহারা। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়া, অযোগ্য লোকদের যোগ্য চেয়ারে বসানো, যোগ্য লোকদের অকেজো করে রাখার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করানো হয়েছে বলে অর্থনীতি বিশ্লেষকগণ মন্তব্য করছেন। দৈনিক প্রথম আলোর গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখের বরাতে জানা যায় শুধু এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। অন্য এক তথ্যে দেখা যায়, সালমান এফ রহমান ক্ষমতা খাটিয়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এগুলো স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক ডাকাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
দেশ ও জনগণকে ভালবেসে যারা রাজনীতি করেন তাদের জনগণ শত বাধার মধ্যেও স্মরণে রাখেন। দমন নিপীড়ন করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব কিন্তু হোঁচট খেলে জনবিচ্ছিন্ন হতে সময় লাগে না। ইতিহাস কাউকেই ছাড় দেয় না। ছিয়ানব্বই সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে সমমনা দলগুলো নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছিল। ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে লিডার বানিয়ে জনতার মঞ্চ করেছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ু না করে রক্তপাত এড়িয়ে গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদে কেয়ারটেকার সরকারের বিল পাস করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়। তারা স্বৈরশাসকের ভূমিকা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখেন। কিন্তু কি কারণে একটা মীমাংসিত কেয়ারটেকার পদ্ধতি আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে বিলুপ্ত করলেন। এই ধরনের রাজনীতির মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে কি ধরনের ম্যাসেজ পৌঁছে তা কি ভেবেছিলেন। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্যই কি কেয়ারটেকার বিলুপ্তি। আজতো আপনারা সে ফাঁদেই আটকে গেলেন। জনগণকে স্বাধীনতা দিতে হবে। স্বৈরতন্ত্র চালানো উচিত নয়। এতে জনবিস্ফোরণ ঘটে। সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হলে জনগণের ভালবাসা ও আস্থা অটুট থাকে। গণঅভ্যুত্থানে কোন সরকারের পতন ঘটলে জনসমর্থন তলানিতে চলে যায়। রাজনীতি করতে হয় দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য। কল্যাণমুখী রাজনীতিতে মানুষের ভালবাসা অটুট থাকে। জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোন সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াম্মর আল গাদ্দাফির কথা এত দ্রুত ভুলে গেলে চলবে কি করে। অসংখ্য দৃষ্টান্ত মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বহু দেশে জ¦লজ¦ল করছে। যারা এ দেশে জন্মেছে তারা প্রত্যেকেই এদেশের নাগরিক। স্বাধীনভাবে নাগরিক সুবিধা ভোগ করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে বল প্রয়োগ করতে হবে কেন। জুলুম নির্যাতন নিষ্পেষণের মাধ্যমে নিজের গদিকে স্থায়ী করার মানসিকতা অপরাজনীতি।
প্রতিটা সেক্টরে সিন্ডিকেটের দাপট অসহনীয় পর্যায়ে। মাছ, মাংস, চাল, সবজি সর্বত্র সিন্ডিকেট। ভাঙ্গতে হবে এই বলয়। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। একেক বাজারে একেক চিত্র। যারা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তারা জাতীয় শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোন ছাড় নয়। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এরা দায়ী। এরা ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট না হলে এত সাহস কোত্থেকে আসে। প্রতিটা সেক্টর যারা অশান্ত করে রেখেছে তাদের ছাড় নয়। তদন্তের মাধ্যমে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবেন তাদের কাছে আমরা একটা সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আশা করি।
বিদায়ী সরকার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বার বার বলেছিলেন এই আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াতের মদদ রয়েছে। এই বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা আসেনি। কারণ যৌক্তিক আন্দোলনে মদদ না দেয়াটাও অন্যায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা প্রতিটা জনগণের নৈতিক অধিকার রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অধিকার ভোগ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার নামই স্বৈরতন্ত্র।
বাংলার জনগণ দীর্ঘদিন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার পরে দেশে একটা পরিবর্তন আসছে। পরবর্তী সরকারগুলো সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং দেশের ও দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর ও ইতিবাচক কাজগুলো করবেন। কেউ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। কেউ জবরদখল করে অন্যকে অধিকার বঞ্চিত করবে না। প্রতিটা জুলুমের যথাযথ ও উপযুক্ত বিচার হবে। সকল মানুষ এদেশে শান্তিতে মিলেমিশে বসবাস করবে। এদেশে কোন ধর্ম বর্ণ বা কোন সংখ্যালঘু বলে তাচ্ছিল্যের শিকার হবে না। প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার পাবে। যারা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে চায় তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে। বন্ধ হোক হানাহানি, বন্ধ হোক জুলুম, বন্ধ হোক আয়নাঘর।
লেখক : কলামিস্ট
Email: khobir72@gmail.com
মন্তব্য করুন