রাজশাহী প্রতিনিধি: জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২ টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বেলা ৯ টার পর মাদ্রাসা ময়দান বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এতে অংশ নেন রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা।
এর আগে তিনদিন অপেক্ষার পর শনিবার সকাল ৬টা থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে প্রবেশ করা শুরু করেন। বেলা ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।
সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দুটো চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দিনটিকে ঘিরে রাজশাহী মাদরাসা মাঠ, ঈদগাহ, পদ্মাপাড়সহ সড়কগুলোয় যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরজুড়ে লাল-সবুজ পতাকা ও প্ল্যাকার্ডসহ মিছিল নিয়ে মাঠে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ চলাকালীন তারা জাতীয় নির্বাচনের দাবি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
সমাবেশ ঘিরে পহেলা ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে বিকল্প উপায়ে রাজশাহীতে আসেন নেতাকর্মীরা। বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন থেকে রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি সিএনজি-অটোরিকশা ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়। যদিও সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যাহার হয় পরিবহণ ধর্মঘট।
প্রসঙ্গত, ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর শরিবার রাজশাহীতে গণসমাবেশ করলো বিএনপি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।