নজর কেড়েছে ভিভো ভি৪০ ফাইভজি, জাইসের লেন্সে প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা
নজর কেড়েছে ভিভো-জাইসের সমন্বয়ে দেশে আসা ভিভো ভি৪০ ফাইভজি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি ভিভোর শো-রুম এবং ই-স্টোরে স্মার্টফোনপ্রেমীদের দারুণ সাড়া পেয়েছে স্মার্টফোনটি। প্রথমবারের মতো ভি সিরিজের ক্যামেরায় বিশ্বখ্যাত জাইসের লেন্স এনেছে ভিভো। এতে ভিডিও ও ফটোগ্রাফিতে মিলছে প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা। ফলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিভো ভি৪০ ফাইভজি স্মার্টফোনটির সিনেম্যাটিক ভিডিও ধারণ ও পোর্ট্রটে ছবির বিষয়টি।
জাইস সিনেম্যাটিক পোর্ট্রটে ভিডিও
ভিভো ভি৪০ ফাইভজি স্মার্টফোনে জাইস সিনেমাটিক পোর্ট্রেট ভিডিওতে ব্যবহার করা যায় জাইস ফোকাস ট্রানজিশন। ভিডিওতে প্রধান চরিত্র যেদিকে তাকাবে সেই দিক অনুযায়ী ক্যামেরা ফোকাস পরিবর্তন হয়ে যাবে। ধরা যাক, ভিডিও ধারণের সময় প্রধান চরিত্র ডান দিকে তাকিয়ে পাশের মানুষটিকে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্মার্টফোনটির ক্যামেরায় থাকা জাইস ফোকাস ট্রানজিশন সাথে সাথেই ডান পাশে ফোকাস পরিবর্তন করবে এবং পাশের মানুষটিকে হাইলাইট করে দেখাবে। এতে সিনেমাটিক আবহ সৃষ্টি হবে। ফোকাস পরিবর্তনের পাশাপাশি এক ধরণের বিশেষ ওভাল বোকেহ ইফেক্ট যোগ করবে জাইস স্টাইল বোকেহ। তখন ফ্রেমের ডেপথ ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে প্রধান ব্যক্তিকে ফোকাসে রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডকে ধীরে ধীরে ঝাপসা করে দেবে। বিশেষ করে যারা রিলস বা শর্ট ভিডিও তৈরি করেন তাদের জন্য বেশ কাজে আসবে ভিভো ভি৪০ ফাইভজির এই ফিচারটি।
ছবি তোলায় সাত রকম আনন্দ
ভিভো ভি৪০ ফাইভজি ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের অফার করছে জাইস স্পেশাল ৭টি বোকেহ স্টাইল। জাইস সিনেমাটিক স্টাইল বোকেহ, জাইস সিনে-ফ্লেয়ার পোর্ট্রেট, জাইস বায়োটার স্টাইল বোকেহ, জাইস প্ল্যানার স্টাইল বোকেহ, জাইস ডিস্টাগন স্টাইল বোকেহ, জাইস সোনার স্টাইল বোকেহ ও জাইস বি-স্প্রিড স্টাইল বোকেহ- এই সাতটি বোকেহ ইফেক্টে সিনেম্যাটিক ফটোগ্রাফি করা যায়। ফটোগ্রাফিতে মিলবে ব্যাকগ্রাউন্ডকে বিভিন্নভাবে দেখার সুযোগ। জাইস স্পেশাল এই বোকেহ ইফেক্টগুলোর মধ্যে একটি সিলেক্ট করলে দেখা যাবে প্রধান ব্যক্তিকে ফোকাসে রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডের লাইটগুলোকে ঝাপসা করে দিয়েছে এবং লাইটের আকারে পরিবর্তন এসেছে।
মাল্টিফোকাল পোর্ট্রেট প্রযুক্তি
মাল্টিফোকাল পোর্ট্রেট ফিচার বিষয়টি বেশ কাজের। ধরা যাক, একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়িয়ে বন্ধুর ছবি তুলছেন। ছবি তুলতে গিয়ে মনে হলো ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড বেশি হয়ে গেছে। এজন্য ফ্রেমটাকে নষ্ট করে আপনার কাছে যাওয়ার দরকার নেই। শুধু মাল্টিফোকাল পোর্ট্রটে ফিচার থেকে ফোকাল লেন্থ চেঞ্জ করলেই হলো। একই ফ্রেমে মোট তিনটি (২৪মি মি, ৩৫ মি মি, ৫০ মি মি) ফোকাল লেন্থে প্রফেশনাল ক্যামেরার মতো ছবি তোলা যায় এই ফিচারটি দিয়ে।
নিখুঁত ছবি
নিখুঁত ডিটেলস ধরে রাখতে পারে স্মার্টফোনটি। বিশেষ করে ডে লাইট কন্ডিশনে শ্যাডো এরিয়াগুলোতে ভালো ডিটেলস ক্যাপচার করে। ফলে ডায়নামিক রেঞ্জ, এজ ডিটেকশন এবং ছবিতে হোয়াইট ব্যালেন্স ভালো ছিল। পাশাপাশি লো লাইট কন্ডিশনে তোলা ছবিগুলো চোখে পড়ার মতো। চাইলে ভ্যাভিড, ন্যাচারাল এবং জাইস-এই তিন মুডে ছবি তোলা যায়। ছবি থেকে এআই দিয়ে মুছে দেওয়া যায় অনাকাঙ্খিত অবজেক্টগুলো।
এছাড়া স্মার্টফোনটিতে থাকছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে, ৫৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্লুভোল্ট ব্যাটারি, ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার, স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন ৩ প্রসেসর এবং আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ ওয়াটার ও ডাস্ট রেজিস্টেন্স প্রযুক্তি। দাম ৬২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
মন্তব্য করুন