রাজধানীর বঙ্গবাজারে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির অনুসারী কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও অন্য আরেক সাংবাদিকের ওপর হামলা গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করার পাঁয়তারা বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় বঙ্গবাজারে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময় আমরা দেখেছি, যারা কথা বলতো, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানান দিতো তাদের নির্যাতন, মামলা, গুম এমনকি খুন করা হতো।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের ওপর হামলা করা হয়েছে তাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য। আজকেও সেই ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন নামে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে। আজ বিএনপির নেতারা সাংবাদিকদের ওপর নৃশংস হামলা করেছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত চামেলি ও তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।
তিনি বলেন, এই ১৬ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশ গঠন হয়েছে এক মাসও হয়নি। কিন্তু এর মাঝে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে এই বিভাজনের ইনজেকশন আবার পুশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে অনেকে। আমরা বলতে চাই, এই সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা বিশেষ সুবিধার দাবি রাখে না। একটা স্বার্থান্বেষী মহল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গ ইসলামিয়া’ মার্কেটে কাপড় দেখতে গিয়ে সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া, জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ সাব্বির, ব্যবসায়ী বাঁধনসহ আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে শাহবাগ থানার ১৯, ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির অনুসারীরা। আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।