সারা দেশে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। জাতীয় সংগীত পরিবর্তন ও তা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় উদীচী, জাতীয় খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও কর্মসূচিতে কেউ কেউ অংশ নেন।
গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংগীতকে ‘স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থি’ উল্লেখ করে তা পরিবর্তনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। এর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল প্রতিবাদ জানান অনেকে। এরই প্রেক্ষিতে সম্মিলিত কণ্ঠে এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে উদীচী।
উদীচী জানায়, এদিন দেশের সব জেলা ও বিদেশে সংগঠনটির শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ একসঙ্গে এই জাতীয় সংগীত কর্মসূচি পালন করেছে বলেও জানায় সংগঠনটি।
এর মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আয়োজনে সূচনা বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সবাই। এ সময় সাধারণ মানুষও শিল্পীদের সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়।
শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে একে একে গেয়ে শোনান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যোগানো দেশাত্ববোধক গান 'মাগো ভাবনা কেন', 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে', 'তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে' গানগুলো।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চাওয়া যেকোনো ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করবে উদীচী। যারা জাতীয় পতাকা, সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাদের আমরা ঘৃণার চোখে দেখব বলে উল্লেখ করেন তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।