ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠতম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবিলম্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ কে এম সহিদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ সেপ্টেম্বর রুলসহ এ আদেশ দেন।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের আদেশটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
তিনি বলেন, “ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ কেনো বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।”
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর দফায় দফায় তার পদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও একই পদে দীর্ঘ সময় রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০০৯ সালের পর থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ে ১৬ বার।
গত ১৫ বছরে ঢাকা ওয়াসায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাকসিম এ খান। ওয়াসার আইন অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে পরিচালনা করেছেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে। এতে তাকসিমের কিছু না হলেও সরে যেতে হয়েছে সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে। ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন ছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে তার বেতন বাড়ানো হয়েছিল পৌনে দুই লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।