কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব—যারা ফ্যাসিবাদে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন, তাদের ‘অবশ্যই’ বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুড়ি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ও আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।’
‘গতকালও প্রেস ক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা দেখব।’, যোগ করেন তথ্য উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পাশাপাশি এটাও বলেছি, কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন, লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করা লাগছে, সেহেতু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ রিফর্ম (সংস্কার) করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
নাহিদ বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।’
একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমে যাতে এই ধরনের গুজবের সত্যাসত্য যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়, মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়, সে জন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।