ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আগামী ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত নতুন নির্ধারণ করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকল আসামির উপস্থিতিতে আজ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে মামলার প্রধান আসামি হৃদয় মোল্লা হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যান তাসলিমা বেগম রেনু। ওই সময় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন রয়েছে। বাকি ১৩ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১ এপ্রিল চার্জগঠন করেন আদালত। আলোচিত এ মামলার আসামিরা-হলেন ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
এদিকে মামলার বাদী ও নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, আর কেউ যেন এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে না পারে, রায়ে এমন দৃষ্টান্ত চান তারা। সেই সঙ্গে সবাইকে সচেতন নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সব বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।