অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অত্যন্ত অপরিহার্য কিন্তু সংস্কারেরও প্রয়োজন আছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের যে উপাদানগুলো আছে, এগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলো নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের যেসব সুপারিশ থাকে সেগুলো নতুন সরকার এলে বিবেচনা করা।
তাই আমরা বলৃছি, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারগুলো শেষ করে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বিইউবিটি’র ছাত্র তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম একটা মাপকাঠি। এই নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫-১৬ বছর যাবত বঞ্চিত ছিল। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। যদিও কোনো কিছু দিয়ে এটাকে মাপকাঠি করা যায় না। এটা একটা জাতির সাইকোলজিক্যাল বিষয়, যে আমি বন্দি কি বন্দি না। কারাগারের বাইরে থাকলেও যখন ফ্যাসিবাদ থাকে তখন নিজেকে বন্দি মনে হয়। সেজন্য এটা (গণতন্ত্র) গুনে গুনে ক্যালকুলেশন করে করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য যে আবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আমাদেরকে দেখতে হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে তাদের কাজগুলো করছে ,সেটা জনগণ দেখবে।
গণতন্ত্রের যদি অসুস্থতা থাকে, তাহলে সেটা সারাতে হবে আরও বেশি গণতন্ত্র দিয়ে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গণতন্ত্র নদীর প্রবাহের মতো, এটাকে আটকে রাখা যায় না। গণতন্ত্রের পানি যত প্রবহমান থাকবে তত বেশি স্বচ্ছ হবে। এটা যদি আটকে যায়, তাহলে গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা শত শত বছরের সেটা আর অর্জন হয় না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।