ভিডিও

সাইবার নিরাপত্তা আইনটি বাতিলযোগ্য, সংশোধনযোগ্য নয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৮, ২০২৪, ০৩:৪১ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ০৮, ২০২৪, ০৩:৪১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সবাই বলেছেন আইনটি বাতিলযোগ্য। এটি সংশোধনযোগ্য নয়। আইনটি বাতিল করতে হবে। আমি অবিলম্বে আইনটি বাতিলের কথা বলব। এই আইনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে দ্রুত ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। ডিজিটাল রাইট, নাগরিক ও ইউনাইটেড নেশনস বাংলাদেশ যৌথভাবে এই গোল টেবিলের আয়োজন করেছিল।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনটিকে যারা কর্তৃত্ববাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা হুকুমের আসামি তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো আইনের মধ্যে আর সাইবার সিকিউরিটি শব্দটি থাকা উচিত নয়।

বৈঠকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামে প্রচুর মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, মন খুলে সমালোচনা করতে। তবে, হাসিনার সময়েও মামলা হতো, এখন ইউনূসের সময়েও মামলা হচ্ছে।

আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, আমাদের মানসিকতা হচ্ছে হয়রানি করা। হয়রানি করাটা মূখ্য উদ্দেশ্য। নতুন আইন করার ক্ষেত্রে কেউ যাতে ওই আইনে হয়রানি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এমআরডিআইয়ের হেড অব প্রোগ্রাম অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ন্যাশনাল সিকিউরিটির আলোচনাকে আর সাইবার সিকিউরিটির আলোচনাকে যদি আমরা আলাদা করতে না পারি, তাহলে আমাদের আরও অনেক বড় অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। এটাকেও মাথায় রাখা দরকার।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS