আউটসোর্সিং ও চুক্তিভিত্তিক চাকরির জাতীয়করণ দাবি
১৫ দিনের মধ্যে দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আউটসোর্সিং ও চুক্তিভিত্তিক চাকরির জাতীয়করণ দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও আউটসোর্সিং কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান আনিস এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আউটসোর্সিং ও চুক্তিভিত্তিক চাকরি জাতীয়করণের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে বৈঠক করতে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনায় যায়। সেখানে তাদের জানানো হয়, যত দ্রুত সম্ভব তাদের দাবির বিষয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন ড. ইউনূস।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান আনিস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দাবি আদায়ে কাজ করবেন। সংস্কার কমিটির মাধ্যমে এটি করা হবে। ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।’
তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহৎ আকারে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সকাল ১০টায় শাহবাগের আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। এতে রাজধানীর ব্যস্ততম এই মোড়ের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ কর্মচারী শাহবাগে জড়ো হয়ে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল এবং আউটসোর্সিং, দৈনিক ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের বহাল রেখে বয়স শিথিল করে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি তুলেছেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতিতে কর্মরতরা।
শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের ছোট-বড় ব্যানারে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ‘ড. ইউনূসের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ব্রিটিশদের দাসত্ব ভেঙে দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।