রমজান মাস উপলক্ষে মানুষের কষ্ট লাঘবে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রয় করা হবে।
রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ডিম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মানুষ ভাতের অভাবে, খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না, আমরা কষ্ট হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের জন্য কাজ করছে। তার নেতৃত্বে আমরা আরও সমৃদ্ধশালী হব।
আবদুর রহমান বলেন, গরু, খাসি ও মুরগির মাংস এবং দুধ, ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারেন সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন-সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে।
তিনি আরো জানান, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ডিম ৪ হাজার পিস, গরুর মাংস ১০০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে থাকবে।
এতে জানানো হয়, ১ম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরো ৫টি স্থানে মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো : (১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালসী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (শিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) (২৫) কাকরাইল।
স্থায়ী বাজার : (২৬) মিরপুর শাহ আলি বাজার, (২৭) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (২৮) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (২৯) কমলাপুর, (৩০) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিপন্ন শুরু হবে।
কার্যক্রমটি তদারকি এবং মনিটরিং করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।